বগুড়ার গাবতলীতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় বিএনপি নেত্রী সুরাইয়া জেরিন রনিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার (১৭ জুলাই) দুপুর পৌনে ১টার দিকে আদালতে আত্মসমর্পণের পর জামিন চাইলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

সুরাইয়া জেরিন রনি বগুড়া মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গাবতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান।

বগুড়া কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক সুব্রত ব্যানার্জি জানান, বিচারক আদেশ দেওয়ার পর দুপুর আড়াইটার দিকে সুরাইয়া জেরিন রনিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, গত ২৭ মে বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় বিএনপির সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে মহিলা দল নেত্রী সুরাইয়া জেরিন রনি আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন বলে অভিযোগ ওঠে। জেরিনের ওই বক্তব্যের প্রতিবাদে ২৯ মে বিক্ষোভের ডাক দেয় গাবতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ। তাদের ওই কর্মসূচিকে ঘিরে সংঘর্ষ বাধে। পরে ৩১ মে গাবতলীতে আওয়ামী লীগের ওপর হামলার ঘটনায় সুরাইয়া জেরিন রনিসহ ১৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। 
এ মামলার বাদী গাবতলী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজার পাইকার। সেই মামলায় জামিন নিতে গেলে বিএনপি নেত্রী সুরাইয়া জেরিন রনিকে আদালত কারাগারে পাঠায় বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। 

এদিকে বিএনপি নেত্রী সুরাইয়া জেরিন রনির আত্মসমপর্ণকে ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণে যুবলীগ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। দুপুর সোয়া ২টার দিকে কোর্ট পুলিশ ও থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে রনিকে এজলাস থেকে বের করে আনে। পরে তাকে প্রিজন ভ্যানে করে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে কারাগারে নেওয়া হয়। পুলিশের প্রিজন ভ্যান আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করলে যুবলীগ ও বিএনপি নেতা-কর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নেন। পরে পুলিশ উভয় পক্ষকে ভিন্ন ভিন্ন দিকে পাঠিয়ে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। 

এর আগে গত ১৪ জুলাই একই মামলায় আরও তিন বিএনপি নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই তিন নেতা হলেন- গাবতলী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিলটন, হারুনুর রশিদ ও ফজলে রাব্বী। হারুন ও রাব্বী উপজেলা বিএনপির সদস্য। 

আরএআর