একদিনে, একই উপজেলায়, একই ট্রেনের ধাক্কায় মাত্র পনেরো ঘণ্টার ব্যবধানে প্রাণ গেল ছয় জনের। ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায়।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকাল সাড়ে সাতটায় গোপালগঞ্জ থেকে রাজশাহীর দিকে ছেড়ে যাওয়া টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের কামারোল এলাকা পৌঁছালে আবুল তালেব (৬০) নামে এক বৃদ্ধ ওই ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হন।

বৃহস্পতিবার রাতে একই ট্রেন রাজশাহী থেকে গোপালগঞ্জে ফেরার পথে কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের কাগদী রেল ক্রসিংয়ে ট্রেনটি পৌঁছালে ১৪ জন শ্রমিক ও ঢালাইমেশিন বোঝাই নসিমনগাড়িকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হয়। আহত হয় নয় জন।

আরও পড়ুন : গোপালগঞ্জে ট্রেন-নসিমন সংঘর্ষে নিহত ৫, আহত ৯

নিহতরা হলেন- কাশিয়ানী উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের বিজয় মৃধার ছেলে সুরজ মৃধা (৩৫), নিরোদ দাসের ছেলে পরিতোষ দাস (৩০), রবিন বিশ্বাসের ছেলে অমৃত বিশ্বাস (৩৫), মহের বিশ্বাসের ছেলে হিরামন বিশ্বাস (৪৫) ও পারুলিয়া গ্রামের মালেক সিকদারে ছেলে রাজ্জাক সিকদার (৪০)।

একই দিনে, একই উপজেলায়, একই ট্রেনে মাত্র পনেরো ঘণ্টার ব্যবধানে ছয় জনের প্রাণ যাওয়া কী রেলের অব্যবস্থাপনা নাকি সাধারণ মানুষের অসচেতনতা এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে স্থানীয়দের মধ্যে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা ঢাকা পোস্টকে বলেন, দায়িত্বরত গেটম্যানরা সিগনাল দিলেও তা মানে না অনেক মানুষ। প্রায়ই এমন দুর্ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে আমাদের আরও সচেতনতা বাড়াতে হবে।

রাজবাড়ি রেলওয়ে থানার ওসি মো. মাসুদ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এমন দুর্ঘটনা ঠেকাতে আমাদের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক লিফলেট বিলি করা হবে। প্রচারণা চালানো হবে। তবে এ প্রচারণায় স্থানীয়রা যুক্ত হতে পারলে, আরও বেশি মানুষকে সচেতন করা যাবে।

আশিক জামান/আইএসএইচ