সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল ও দেবিদ্বার উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ

জাতীয় সংসদ ভবনে কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল এবং দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে সমাধান হয়েছে। 

রোববার (২৪ জুলাই) রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় কার্যালয়ে এ বিষয়ে সমঝোতা বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। এ সময় দুজন দুজনকে ‘সরি’ বলে হাতাহাতির ঘটনা সাময়িক সমাধান করেন। তবে কে কাকে আঘাত করেছেন, কার অন্যায় বেশি এসব নিশ্চিত হওয়ার জন্য সংসদ ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

সোমবার (২৫ জুলাই) সকালে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টার। 

তিনি বলেন, এমপি এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় দুজন দুজনকে ‘সরি’ বলে ঘটনার সাময়িক সমাধান করেছেন। দুজন কোলাকুলিও করেছেন। এজন্য কেন্দ্রীয় নেতারা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন। আগামী ২ সেপ্টেম্বর ওই সম্মেলন হবে। তবে হাতাহাতির ঘটনায় কে দোষী তা খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। 

রোববার ধানমন্ডির দলীয় কার্যালয়ের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন এবং সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টার।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুন জাতীয় সংসদ ভবনের মেম্বারস ক্লাবে দেবিদ্বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দেশব্যাপী আলোচনার সৃষ্টি হয়।

আরএআর