মাকে খুন করে পুঁতে রাখলেন ছেলে
অভিযুক্ত মুন্না
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের কাটদহ গ্রামে মমতাজ বেগমকে খুন করে বাড়ির পাশের পুকুরের কিনারায় পুঁতে রেখেছিলেন তারই ছেলে মুন্না (২৫) ও তার তিন বন্ধু। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবি পুলিশের ওসি আমিনুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, ২৮ দিন আগে তারা এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেন। এরপর অজ্ঞাতনামা কোনো পুরুষের সঙ্গে তার মা চলে গেছেন বলেও গুজব ছড়ান ওই সন্তান। এ ঘটনায় মমতাজের জামাতা মিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন।
বিজ্ঞাপন
এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) কুষ্টিয়ার গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মুন্নার বন্ধু রাব্বিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি খুনের দায় স্বীকার করেন এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে মমতাজের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। পরে রাব্বির দেওয়া তথ্যমতে কাদের এবং সুজন নামের তাদের আরও দুই বন্ধুকে আটক করে পুলিশ। মুন্না এখনো পলাতক আছেন।
এ বিষয়ে ডিবি পুলিশের ওসি আমিনুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান, মিরপুর থানায় মমতাজ নামের একজন নিখোঁজ হওয়া জিডির পরিপ্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশ রাব্বি নামের একজনকে আটক করে। এতে রাব্বিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায়, নিহত নারীর ছেলে মুন্না কাদের ও সুজনের সহযোগিতায় তার মাকে হত্যা করেন। পরে তার লাশ বাড়ির পাশের পুকুরের কিনারায় গর্ত করে পুঁতে রাখেন।
বিজ্ঞাপন
তবে মুন্নাকে এখন পর্যন্ত আটক করা সম্ভব হয়নি। তাকে আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি। সম্পত্তি বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে বলেও ধারণা করেন ওসি।
রাজু আহমেদ/এনএ