ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও পৌর বিএনপির সহসভাপতি ইসমাইল হোসেন হত্যা মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় অপর তিনজনকে খালস প্রদান করেছেন আদালত। বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক শওকত হোসাইন এ রায় প্রদান করেন। 

যাবজ্জীবন করাদণ্ডপ্রাপ্ত শাহাজান কালীগঞ্জ উপজেলার চাপালি গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও পৌর বিএনপির সহসভাপতি ইসমাইল হোসেন ২০১৪ সালের মে মাসের ১৩ তারিখে ফজরের নামাজ পড়ে বাইকে করে চাপালি গ্রামে ধানখেত দেখে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় আসামি শাহাজানসহ অন্যরা চাপালী সড়কে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। 

এ হত্যার ঘটনায় ওইদিন কালীগঞ্জ থানায় নিহতের স্ত্রী জাহানারা বেগম বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দীর্ঘ ৯ বছর চলার পর উভয় পক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত অভিযুক্ত শাহাজানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান ও আসামি আজিজার, আব্বাস আলী ও আতিয়ারকে এ মামলা থেকে বেকসুর খালাশ প্রদান করেন। 

মামলায় সরকার পক্ষে অতিরিক্ত পিপি আব্দুল খালেক ও আসামিপক্ষে রাশিদুল হাসান জাহাঙ্গীর মামলাটি পরিচালনা করেন।

অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল খালেক ঢাকা পোস্টকে জানান, কালীগঞ্জের কাউন্সিলর ইসমাইল হত্যা মামলায় আদালত যে রায় দিয়েছেন সেটা সন্তোষজনক। আমরা আদালতে প্রত্যেককে সাজার আওতায় আনতে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের উপযুক্ত প্রমাণ না থাকায় তারা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছে। যেটা আমরা আশা করিনি। 

আব্দুল্লাহ আল মামুন/আরআই