পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্বামীকে হত্যা করে রান্নাঘরে মরদেহ ফেলে রেখে পালানোর অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী কোকিলা বেগমের (৩৫) বিরুদ্ধে। শনিবার (৩০ জুলাই) সকালে প্রতিবেশীরা তার মরদেহ দেখতে পেয়ে মঠবাড়িয়া থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত আবু সালেহ (৫০) মঠবাড়িয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মিঠাখালী গ্রামের মৃত বারেক সুফির ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহা. নুরুল ইসলাম বাদল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত আবু সালেহ তিন বিয়ে করেছিলেন। প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তিন বছর আগে একই গ্রা‌মের মৃত আবদুল হালিম মিয়ার মে‌য়ে কো‌কিলা বেগম‌কে বি‌য়ে ক‌রেন। এনজিও থেকে পাওয়া গরু গত শুক্রবার বিক্রি করেছিলেন আবু সালেহ। এ নিয়ে তৃতীয় স্ত্রী কোকিলার সঙ্গে রাতে তর্কবিতর্ক হয়। বাড়িটি আলাদা হওয়ায় সেখানে কেউ যেত না। সকালে রান্নাঘরে কাদামাখা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় প্রতিবেশীরা।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নুরুল ইসলাম বাদল জানান, ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী কেকিলা বেগম পলাতক রয়েছেন। স্থানীয়ভাবে জানতে পেরেছি আবু সালেহ বাড়ির একটি গরু বিক্রি করায় এ নিয়ে রাতে তর্কবিতর্ক হয়েছে দুজনের। নিহতের পরিবারের দাবি, স্ত্রী কুহিলা তাকে হত্যা করে পালিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, মরদেহ কাদামাখা অবস্থায় রান্নাঘরের মেঝে থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর পাঠিয়েছি। তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে। কোকিলাকে আটক করার চেষ্টা চলছে।

মো. আবীর হাসান/এনএ