১১ মাসের শিশু আল আমিনকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন বাবা সামছুর উদ্দিন। থানায় জিডি করেও খোঁজ পাচ্ছিলেন না সন্তানের। এমন সময় জানলেন কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিশু আল আমিনকে পেয়ে বাবা-মায়ের খোঁজ চেয়ে মাইকিং করছেন। হারানোর ৪৮ ঘণ্টা পর সন্তানকে বুকে পেয়ে কেঁদে দিলেন সামছুর উদ্দিন। বললেন, আল্লাহ আপনার ভালো করুক।  পুলিশের কাছে ঋণী হয়ে গেলাম। সারাজীবন আমি মনে রাখব।

গতকাল শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে কুড়িয়ে পাওয়া শিশুকে মা-বাবার কোলে তুলে দিলেন কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান।

কোম্পানীগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) উপজেলার ডাকবাংলার সামনে একটি শিশুকে কুড়িয়ে পান ওসি মো. সাদেকুর রহমান। এরপর শিশুটিকে নিজের কাছে রাখেন। পাশাপাশি শিশুটির বাবা-মাকে খোঁজার জন্য মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করেন।পরে তিনি জানতে পারেন সুধারাম মডেল থানায় শিশু হারানোর সাধারণ ডায়েরি করেছেন নোয়াখালী ইউনিয়নের আবদুল মালেকের ছেলে সামছুর উদ্দিন। সেই তথ্য অনুযায়ী শিশুটির বাবাকে ফোন করেন ওসি মো. সাদেকুর রহমান। এরপর থানায় এসে শিশুকে গ্রহণ করেন বাবা সামছুর উদ্দিন।

শিশুকে পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে সামছুর উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার স্ত্রী খলিল মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি কিছুটা অসুস্থ থাকায় শিশু আল আমিন হারিয়ে যায়। তারপর আমি গত ২৭ জুলাই সুধারাম মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। আজ আমার আল আমিনকে ফিরে পেয়েছি। 

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রশংসায় ভাসছেন কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। নুর উদ্দিন মুরাদ নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেন, আলহামদুলিল্লাহ। সকলের চেষ্টায় আল আমিন ফিরল তার মায়ের কোলে। বিশেষ করে কোম্পানীগঞ্জ থানা ওসিকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। 

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিশুটিকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি শিশুটির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি। 

হাসিব আল আমিন/এমএএস