একটা নিষ্পাপ শিশু, তার কী অপরাধ ছিল? সে কি ভোট চুরি করতে গিয়েছিল? সে কি ভোট কেন্দ্রে সন্ত্রাস করতে গিয়েছিল? তাকে কী কারণে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো? এ দায় কার? এ দায় কে নেবে? নির্বাচন কমিশন নেবে, প্রধানমন্ত্রী নেবে নাকি এখানকার প্রশাসন নেবে?

রোববার (৩১ জুলাই) বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সারা দেশে লোডশেডিং, গ্যাস, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জ্বালানি খাতের অনিয়মের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশিদ।

তিনি বলেন, আমি গণ্যমাধ্যমে দেখলাম এ জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সেই শিশু পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। সেই নিহত শিশুর মূল্য কি ৫০ হাজার টাকা? আমি এক লাখ টাকা দেব, এ সন্তানকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারবেন? বাংলাদেশে এভাবে শত শত মায়ের কোল প্রধানমন্ত্রী খালি করেছেন।

এ সরকার জনগণের ওপর জুলুম শুরু করেছে মন্তব্য করে সংসদ সদস্য হারুন বলেন, এ সরকার কখনো জনগণের সরকার হতে পারে না। দেশের ৫০ বছরে এসেও আমরা স্বাধীনভাবে কিছু করতে পারছি না। কিছুদিন আগে এ সরকার শতভাগ বিদ্যুতায়নের মহা-উৎসব পালন করল। এখন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। সরকার মহা-উৎসবের নামে সব জায়গায় লুটপাট করছে।

ইউপি নির্বাচনের সহিংসতায় তিনি বলেন, শোনা যাচ্ছে নিহত শিশুটির ঘটনায় মামলা হয়েছে। সেখানে সরকারি আর বিদ্রোহী প্রার্থীর মারামারি হয়েছে। তারা তারাই হট্টগোল করে মারামারি করছে। আর আমাদের নেতা-কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এগুলো বন্ধ করুন। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) আব্দুল খালেক, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান, জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিনসহ বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

এম এ সামাদ/এনএ