কেরানীগঞ্জের বাসা থেকে নিখোঁজ হওয়া মানসিক ভারসাম্যহীন এক বৃদ্ধাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক। এতে বৃদ্ধাকে ফিরে পেয়ে পুলিশের কাজের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার পরিবার।

জানা গেছে, মানসিক ভারসাম্যহীন নাসিমা বেগম (৭০) গত ২৪ জুলাই ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পারগেন্ডারিয়ার খেজুরবাগ এলাকার ভাড়াটে বাসা থেকে হারিয়ে যান। ২৫ জুলাই বিকেলে সিরাজদিখান বাজার গোডাউন ঘাট এলাকায় বৃদ্ধা নারীকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন সিরাজদিখান বাজার গোডাউন ঘাট এলাকার বাসিন্দা বিপ্লব মিয়া। তিনি তাকে তার বাড়িতে নিয়ে যান। এ সময় বৃদ্ধা নিজের নাম-ঠিকানা কিছুই বলতে পারছিলেন না।

পরে বিপ্লব মিয়া ও তার স্ত্রী বৃদ্ধার স্বজনদের খোঁজার চেষ্টা করেন বিভিন্নভাবে। পরে না পেয়ে সিরাজদিখান থানার ওসি মিজানুল হককে সোমবার এ বিষয়ে অবহিত করেন। ওসি তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হন যে বৃদ্ধা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পারগেন্ডারিয়ার খেজুরবাগ (টাইলস মসজিদ) এলাকার জামাল মিয়ার ভাড়াটে। ওসি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার মাধ্যমে স্বজনদের খবর দিলে স্বজনরা সিরাজদিখান থানায় এসে বৃদ্ধাকে নিয়ে যান।

বৃদ্ধা নাসিমা বেগমের বড় ছেলে নাসির উদ্দিন বলেন, আমার মা ব্রেন স্ট্রোক করে স্মৃতি হারিয়ে মানসিক রোগী হয়ে পড়েছেন। গত ২৪ জুলাই আমাদের বাসা থেকে হারিয়ে যান আমার মা। আমরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করি আমার মায়ের ছবি দিয়ে পোস্টার করি। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাকেও এ বিষয়ে জানাই। অবশেষে সিরাজদিখান থানার ওসি এ কে এম মিজানুল হকের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে সিরাজদিখান থানায় এসে আমার মাকে ফিরে পাই। আমরা ওসি মিজানুল হককে ধন্যবাদ জানাই। তার সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করছি।

ওসি এ কে এম মিজানুল হক বলেন, সিরাজদিখান বাজার বিপ্লব হোটেলের মালিক মো. বিপ্লব মিয়া বিষয়টি জানালে আমি তাৎক্ষণিক বিভিন্ন থানায় যোগাযোগ করে নিশ্চিত হই, বৃদ্ধা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকার। তার স্বজনদের সংবাদ দিলে তারা এসে নিয়ে তাকে নিয়ে যান।

ব.ম শামীম/এনএ