নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে গিয়ে মাছ না পেয়ে জেলেরা যখন হতাশ হয়ে ফিরছেন, ঠিক তখনই পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের একটি ট্রলার ৭৫ মণ ইলিশ নিয়ে ফিরেছে। যা বিক্রি হয়েছে ১৮ লাখ টাকা। 

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে এমভি সাফওয়ান নামে ট্রলারটি ৭৫ মণ ইলিশ নিয়ে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে ফেরে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিষেধাজ্ঞা শেষে কিছু দিন আগে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাট থেকে এমভি সাফওয়ান ট্রলারে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান জেলেরা। এরপর সাগরের গভীরে জাল ফেলতেই উঠে আসে বিপুল পরিমাণ রুপালি ইলিশ। ইলিশের ভরা মৌসুমেও যখন জেলেরা কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা পাচ্ছেন না, তখন এমভি সাফওয়ান ট্রলারের জেলেরা বিপুল পরিমাণ ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরেছেন। এতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ঘাট এলাকায়।

এমভি সাফওয়ান ট্রলারের মালিক ও পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির বলেন, আমার জেলেরা বিপুল পরিমাণ ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরে এসেছেন। নিষেধাজ্ঞার পর বহু ট্রলার সাগরে গেছে, তবে আশানুরূপ ইলিশ তারা পায়নি। আমাদের জেলেরা ৭৫ মণ ইলিশ পেয়েছেন। মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি তিনি চাইলেই সব পারেন। 

তিনি বলেন, মাছগুলো বিক্রির জন্য বাগেরহাট পাঠানো হয়। সেখানে মাছগুলো ১৮ লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে। এতে আমার ট্রলারের জেলে ও মাঝিরা খুশি।

জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, গত কয়েকদিন ধরে সাগরে মাছ না পাওয়ায় হতাশ হয়েই জেলেরা ঘাটে ফিরে আসছে। খুব সমস্যার মধ্যেই তাদের দিন কাটছে। এর মধ্যে পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যানের ট্রলারে ৭৫ মণ ইলিশ এসেছে। এটা আমাদের জন্য খুশির খবর। আমার মনে হয় আস্তে আস্তে জেলেদের জালে মাছ ধরা পড়তে শুরু করেছে।  

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরা পড়ছে এবং ওই ইলিশের সাইজও বড়। তবে উপকূলের কাছাকাছি এখন ইলিশ অনেকটা কম পাওয়া যাচ্ছে। ধারণা করছি সামনের দিনগুলোতে জেলেদের জালে আরও ইলিশ ধরা পড়বে।

খান নাঈম/আরএআর