রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হচ্ছে না মধুখালী-মাগুরা-কামারখালী ব্রডগেজ রেললাইন প্রকল্পের কাজ। তবে সময় বাড়ানো হলেও প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে না।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুরে ফরিদপুরের মধুখালি উপজেলার কামারখালী বাজার সংলগ্ন নির্মাণাধীন কামারখালী রেলস্টেশন পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, চার বছর মেয়াদী এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয় ২০১৮ সালে। শেষ হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের নভেম্বরে। তবে জমি অধিগ্রহণজনিত জটিলতা এবং করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে কাজ সময়মতো শুরু করা যায়নি। এ কাজ শুরু হয়েছে প্রকল্প শুরুর অনেক পরে, ২০২১ সালের ২৩ মে।

রেলমন্ত্রী বলেন, সময়মতো কাজ শেষ করা না গেলে এ কাজের সময় বাড়ানো হবে, তবে এ জন্য প্রকল্প ব্যয় বাড়াবে না সরকার। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্প ব্যয় বাড়ানোর দাবি করেছেন। সেটা সরকার বিবেচনা করতে পারে।

তিনি বলেন, এ প্রকল্প দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যয় দিয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ কারণে বিশ্ব বাজারে নির্মাণসামগ্রীর দাম কতটুকু বেড়েছে তা সরকারের বিবেচনায় নেওয়ার সুযোগ নেই। দুটি নতুন রেলস্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। এর একটি মাগুরাতে এবং অপরটি ফরিদপুরের কামারখালীতে।

মধুমতী নদীর ওপর রেল সেতুর নির্মাণ কাজ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে নূরুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। পাইলিংয়ের বাকি কাজ বর্ষার পর শেষ করা হবে। এ প্রকল্পের অধীনে নতুন রেললাইন স্থাপনের পাশাপাশি পুরনো রেললাইন সংস্কার করা হচ্ছে।

এ সময় মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর ও মীর আক্তার কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মীর নাসির হোসনসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

রেলওয়ে সুত্রে জানা গেছে, ৮৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর মধ্যে ৪৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯.৯ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করছে কাজী নাবিল আহমেদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ক্যাসেল কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। এ পর্যন্ত এ কাজের ৩০ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে।

অপরদিকে মধুমতী নদীর ওপর দুই হাজার ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্যের রেল সেতু নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে ৪৪৮ কোটি টাকায়। এ কাজের ঠিকাদারি পেয়েছে মীর আক্তার কনস্ট্রকশন লিমিটেড। এ পর্যন্ত এ কাজের ২৭ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে।

জহির হোসেন/আরআই