কাউন্সিলর আতাউর রহমান

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সাবেক কাউন্সিলর আতাউর রহমানের নেতৃত্বে অবসরপ্রাপ্ত এক কলেজশিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে গৌরীপুর পৌর শহরের কৃষ্ণপ্রসাদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

ভুক্তভোগীর নাম মো. হাবিব উল্লাহ (৬৮)। তিনি গৌরীপুর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসাবে কর্মরত থেকে ২০১৫ সালে অবসরে যান।

বিকেলে মারধরের ঘটনায় গৌরীপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন মারধরের শিকার মো. হাবিব উল্লাহ। তার অভিযোগ, গৌরীপুর পৌর শহরের কৃষ্ণপ্রসাদপুর মৌজায় ১ একর ৭৩ শতকের তিনটি পুকুর রয়েছে। ক্রয় ও বায়না সূত্রে তিনি এ পুকুরের মালিক। 

আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে তিনি শ্রমিক নিয়ে পুকুর পাড়ের আগাছা পরিষ্কার করতে যান। বেলা ১১টার দিকে গৌরীপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আতাউর রহমান, তার দুই ভাইসহ আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে পুকুরের মালিকানা দাবি করে আগাছা পরিষ্কার করা বন্ধ রাখতে বলেন। এ নিয়ে তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে আতাউর রহমান ও তার লোকজন হাবিব উল্লাহকে মারধর করেন।

হাবিব উল্লাহ বলেন, মারধরের এক পর্যায়ে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। এরপরও আতাউর রাম দা নিয়ে আমাকে কোপানোর জন্য উদ্যত হয়। এ সময় আমার শ্রমিকেরা তাকে বাধা দেন। পরে পুকুর পাড়ে থাকা হাবিব উল্লার নামের সাইনবোর্ড ভেঙে চলে যায় তারা।

অভিযোগটি মিথ্যা দাবি করে অভিযুক্ত আতাউর রহমান বলেন, হাবিব উল্লাহ আমার নিজের শিক্ষক। তাকে মারধরের প্রশ্নই ওঠে না। ওই জমির প্রকৃত মালিক আমি। নিজের পুকুর উদ্ধার করতে গেলে উল্টো হাবিব উল্লাহ ও তার সঙ্গে থাকা লোকেরা আমাদের বাধা দেন। পরে আমাদের হুমকি দিলে আমরা চলে আসি।

গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. আব্দুল হালিম সিদ্দিকী বলেন, আমরা অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক হাবিব উল্লার অভিযোগটি পেয়েছি। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

উবায়দুল হক/আরআই