ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় পূজা উদযাপন পরিষদের দুটি কমিটি রয়েছে। এতে বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে সামাজিক জটিলতা তৈরি হয়। ঝামেলা নিরসনের জন্য উপজেলা প্রশাসন দুপক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে। কিন্তু প্রশাসনের সামনেই ঘটে গেল কিল-ঘুষি-হাতাহাতির ঘটনা।

রোববার (৭ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ সম্মেলনকক্ষে ঘটে এ ঘটনা। এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নগরকান্দা পৌর মেয়র ও থানার পরিদর্শক (তদন্ত)।

ইতিমধ্যে মারামারির ৪৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায় একে অপরের ওপর চড়াও হয়ে কিল-ঘুষি মারার দৃশ্য।

খোঁজ নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের কাছ থেকে জানা যায়, নগরকান্দা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নামে দুটি কমিটি রয়েছে। একটি কমিটির সভাপতি বিধান চন্দ্র বিশ্বাস ও অপরটির সভাপতি মনোরঞ্জন বিশ্বাস।

একই উপজেলায় দুটি কমিটি থাকায় বিভিন্ন সময় প্রশাসনিক ও সামাজিক জটিলতা তৈরি হয়। এ জটিলতা সমাধানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দুপক্ষকে নিয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করেন।

উদ্দেশ্য ছিল, দুই পক্ষের বিবাদ মিটিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে গ্রহণযোগ্য একটি কমিটি গঠন করা। কিন্তু সভা চলাকালীন বিধান বিশ্বাস ও মনোরঞ্জন বিশ্বাসের সমর্থকদের কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষের মারামারি শুরু হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপস্থিত আনসার সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করেন। এর ফলে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ হয়।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম ইমাম রাজি বলেন, এখানে পূজা উদযাপন পরিষদের দুটি কমিটি রয়েছে। প্রতিদিনই দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে নালিশ করতে আসে। আবার তারাই আমাকে বলেছে সবাইকে নিয়ে বসে দুপক্ষকে এক করে দিতে। সে লক্ষ্যেই উপজেলায় সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু হট্টগোলের কারণে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ করতে হয়েছে।

নগরকান্দা পৌরসভার মেয়র ও পূজা উদযাপন কমিটির সাবেক সভাপতি নিমাই চন্দ্র সরকার জানান, ইউএনও সাহেব ভালো একটা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি সফল হয়নি। যেটি ঘটে গেছে, তা খুবই ন্যক্কারজনক একটি ঘটনা।

জহির হোসেন/এনএ