সাতদিন ধরে নিখোঁজ দুই বন্ধু সামি-আলভী
সামি ও আলভী
রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণিপড়ুয়া দুই শিক্ষার্থী সাতদিন ধরে নিখোঁজ। বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ করেও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় গত সোমবার (১ আগস্ট) মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় পৃথক দুটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থী হলো, মো. আদহাম আল সামি ও তার বন্ধু আলাভী বিন আব্দুল্লাহ।
রোববার (৭ সন্ধ্যায়) ওই দুই শিক্ষার্থীর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি আদহাম আল সামির বাবা সেকেন্দার আলী ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আদহাম আলী সামি এবং আলাভী বিন আব্দুল্লাহ দু'জনই নিখোঁজ। সামির বন্ধু আলভী। তাদের দু'জনেরই বয়স ১৬ বছর। গত ৩১ জুলাই সোমবার বিকেল ৫টা ২৬ মিনিটে তারা একসঙ্গে ধাপ শ্যামলী লেনের বাসা থেকে বের হয়। এরপর তারা আর বাসায় ফিরে আসেননি।
তিনি আরও জানান, সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা গেছে বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সামি ও আলভীর পিঠে স্কুল ব্যাগ ও দুটি কাপড়ের ব্যাগ ছিল। সাতদিন পার হলেও সন্তানদের না পেয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে অভিভাবকদের।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় ১ আগস্ট দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। একই বিষয়ে রংপুর র্যাব-১৩-তেও একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে নিখোঁজ সামির গায়ের রঙ শ্যামলা আর তার বন্ধু আলভীর গায়ের রঙ উজ্জল। দু’জনই মানসিকভাবে সুস্থ বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সামি ও আলভীর সন্ধান চেয়ে সেকেন্দার আলী বলেন, গত সাতদিনে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজা হয়েছে। আমাদের সব আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতজনদের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এখনও সম্ভাব্য সব পরিচিতদের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে তাদের খোঁজ করা হচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি র ্যাবকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
নিখোঁজ ওই শিক্ষার্থীর সন্ধান জানাতে ০১৭১৬৫৬১৮৬৮, ০১৭১৬৪২১৮৪৬, ০১৭২৯৬৫৭৫৫৫, ০১৭১৬৩১৩৯৯৫ নম্বরে অথবা রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানা (০১৩২০০৭৩৪৮৩) এবং ধাপ পুলিশ ফাঁড়িতে (০১৭১৭৫৯৩০৪৫) যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেছে পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে সাধারণ ডায়েরির বিষয়টি নিশ্চিত করে নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে পুলিশ চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হোসেন আলী বলেন, বিষয়টি নজরে আসার পর পরই তদন্ত শুরু করেছেন তারা। তবে এখনও কারো খোঁজ মেলেনি।
ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএএস