টাঙ্গাইলে গভীর রাতে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মূলহোতা রতন হোসেনের (২১) বাড়ি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কুড়ালিয়া ইউনিয়নের ধলপুর গ্রামে। তারা দুই ভাই। তার মা-বাবার মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়েছে অনেক আগে। 

বাবা মজিবর রহমানের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর তার মা বাবুল নামে আরেকজনকে বিয়ে করেন। পরে তারা দুই ভাই ঢাকায় চলে যান। ঢাকায় গিয়ে রতন জড়িয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে পড়েন। তবে তার বাবা মজিবর রহমানের বাড়ি একই উপজেলার আলোদিয়া এলাকায়।

স্থানীয়রা জানান, ডাকাত দলের মূলহোতা রতন হোসেন ঢাকায় থাকার সুবাদে মাঝে মধ্যে তার মায়ের বাড়ি ধলপুর আসতেন। তবে তাদের সম্পর্কে এলাকাবাসী কিছুই জানত না। তারাও এলাকায় গিয়ে কিছু দিনের জন্য থেকে আবার ঢাকায় চলে যেত। রতন এখন পর্যন্ত বিয়ে করেননি বলে জানে এলাকাবাসী। এই বয়সে সে এতো বড় ঘটনা ঘটাতে পারে সেটা ভাবা যায় না। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরই তার মাসহ বাড়ির সবাই এলাকা থেকে পালিয়েছেন।

মধুপুর উপজেলার কুড়ালিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও ধলপুর গ্রামের বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন বলেন, রতন ও তার ভাই আগের পক্ষের মজিবর রহমানের ছেলে। তার মা বেলী বেগম মজিবরের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর বাবুল নামে একজনকে বিয়ে করে ধলপুর এলাকায় থাকেন। পরের ঘরে বেলীর একটি মেয়ে রয়েছে। তবে রতন ও তার ভাই এলাকায় থাকে না। তারা ঢাকায় থাকে, মাঝে মধ্যে এলাকায় আসে। এর মধ্যে গত তিন মাসে রতন ধলপুর এসে ভোটার হয়েছে। এখনো তার আইডি কার্ড আসেনি। সে আমাদের এলাকাতেই ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনার মূল আসামি এটা ভাবা যায় না। এই ঘটনা শুনে এলাকার মানুষজনও হতবাক হয়েছে। তাদের বাড়ির লোকজন সকালেই বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে বলে জেনেছি।

এদিকে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী রতন হোসেনসহ ডাকাত দলের ১০ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১। রোববার (৭ আগস্ট) ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মধুপুর থানার ওসি (তদন্ত) মুরাদ হোসেন জানান, র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার আসামিদের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অফিশিয়াল ডকুমেন্ট পাইনি। ঘটনার মূলহোতা রতনের বিষয়ে কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।

অভিজিৎ ঘোষ/আরএআর