কিশোরগঞ্জের হাওরেও দেখা মিলেছে জলস্তম্ভের (Water Spout)। মঙ্গলবার (০৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে উপজেলার ইটনা অলওয়েদার সড়কের ছিলনী ব্রিজের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে এ জলস্তম্ভ দেখা গেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা মোখলেসুর রহমান জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে কিশোরগঞ্জের ইটনার অলওয়েদার সড়কের ছিলনী ব্রিজ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকের হাওরে জলস্তম্ভ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তিনি একটি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে তা ছড়িয়ে পড়ে।

তিনি আরও জানান, বেশ কিছু সময় জল ও আকাশ বরাবর জলরাশির ঘূর্ণমান দেখা যায়। গত কয়েক বছরে হাওরে এমন জলস্তম্ভ দেখা যায়নি। তবে কিছু দিনের মধ্যে দেশের কয়েকটি হাওরে এ ঘটনা দেখা গেছে। 

এলাকাবাসী জানান, কিশোরগঞ্জের হাওরে এর আগে কখনো জলস্তম্ভ দেখা যায়নি। এলাকাবাসীর অনেকেই জলস্তম্ভ দেখেছেন, তারাও অবাক হয়েছেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জল দিয়ে মোড়ানো বাতাসের তৈরি টর্নেডোর ফলে এটি সৃষ্টি হয়। জলভাগের ওপর শক্তিশালী টর্নেডো সৃষ্টি হলে প্রবল বেগে ঘূর্ণমান বায়ুর টানে জলভাগের জল টর্নেডোর কেন্দ্র বরাবর স্তম্ভাকারে ঘুরন্ত অবস্থায় ওপরে উত্থিত হয়। একে জলস্তম্ভ (Water Spout) বলে। তবে গ্রামাঞ্চলে এটি ‘মেঘশূর’ নামে পরিচিত।

ইটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা আক্তার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি। এগুলো ভূমি সমকক্ষের তুলনায় দুর্বল, তবে মেসোসাইক্লোন দ্বারা তৈরি জলস্তম্ভ শক্তিশালী হয়ে থাকে। টর্নেডোর সঙ্গে জলস্তম্ভের মৌলিক পার্থক্য উপাদানে। টর্নেডোতে থাকে বায়ু আর জলস্তম্ভে থাকে পানি।

এসকে রাসেল/এসপি