বরগুনার পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে তলিয়ে গেছে জেলার দুই ফেরিঘাট, প্লাবিত হয়েছে জেলার নিম্নাঞ্চল। ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। 

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জেলায় গতকাল বুধবার (১০ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সকাল ৯টা পর্যন্ত ৬৯ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগের দিন মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) ৪০ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এখন বরগুনার প্রধান তিনটি নদীর পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে আমতলী-পুরাকাটা ও বরইতলা-বাইনচোটকি ফেরির গ্যাংওয়ে। এতে গাড়ি নিয়ে পার হতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বরগুনা পৌর শহরের কলেজ রোড, ডিকেপি রোড, ফার্মেসি পট্টি, কসমেটিকস পট্টি ও গার্মেন্টস পট্টির রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। 

বড়ইতলা-বাইনচটকি রুটের কয়েকজন বাস চালক বলেন, জোয়ারের পানিতে ফেরির গ্যাংওয়ে তলিয়ে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে ফেরিতে উঠতে হয় আমাদের। এভাবে পারাপার চলতে থাকলে যেকোনো সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। 

হাসান, সবুজ, শিপন নামে কয়েকজন মোটরসাইকেল চালক বলেন, আমরা কোম্পানিতে চাকরি করি। মালামাল নিয়ে প্রতিদিন আমতলী যেতে হয়। তবে পানিতে ডুবে থাকে ফেরিঘাট। পানির মধ্যে দিয়েই আমাদের পাড়ে উঠতে হয়। মালামাল কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যায়। 

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম বলেন, ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি না কমা পর্যন্ত প্রত্যেক জোয়ারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

খান নাঈম/আরএআর