পিরোজপুর জেলা বিএনপির ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একটি বাস ভাঙচুর এবং জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ১২ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকেলে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন।

তিনি বলেন, আমরা বিকেল থেকেই জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ করছিলাম। সমাবেশ শেষ হওয়ার আগে আগে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রসহ আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। শহরের বাইপাসে তারা আমাদের নেতা-কর্মীদের বহনকারী একটি বাস ভাঙচুর করেছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, গণপরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জেলা বিএনপির ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশ হচ্ছিল। এ সময় হামলা করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ হামলায় জেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের ১২ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

হামলায় আহত জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান শেখ রুবেল বলেন, আমরা জেলা বিএনপির সঙ্গে সমাবেশ করছিলাম। হঠাৎ পুলিশের উপস্থিতিতেই ছাত্রলীগ আমাদের সভাস্থলে হামলা করে। এ ছাড়া আমাদের কর্মীদের বহনকারী একটি বাসেও তারা ভাঙচুর করেছে। 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ জা মো. মাসুদুজ্জামান জানান, বিএনপির সভাস্থলে হঠাৎ পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি।

মো. আবীর হাসান/এনএ