পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার খাবার হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন মালিকরা। বুধবার (১৭ আগস্ট) বিকেল ৫টায় ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন কুয়াকাটার খাবার হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি মো. সেলিম মুন্সি। এতে স্বস্তি ফিরে এসেছে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের মাঝে।

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন ও কলাপাড়া উপজেলা নিবার্হী অফিসার আবু হাসনাত মো. শহিদুল হকের মাধ্যমে মালিকদের দফায় দফায় আলোচনা হয়। এক পর্যায়ে খাবার হোটেল মালিক সংগঠনের নেতারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আলোচনায় বসতে রাজি হন।
 
বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরের পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে ধর্মঘট প্রত্যারের সিদ্ধান্ত নেন মালিকরা।

কুয়াকাটা খাবার হোটেল রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কলিমুল্লাহ বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয় ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিলতার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরাও পর্যটকদের মাঝে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে মানসম্মত খাবার সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। জেলা প্রশাসক আমাদের সুখ-দুঃখ দেখার আশ্বাস দেওয়ায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছি।

সংগঠনের সভাপতি মো. সেলিম মুন্সী বলেন, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আমাদের দাবিগুলো শুনে ভ্রাম্যমাণ আদালত শিথিল করার আশ্বাস দিয়েছেন। কোনো হোটেল যাতে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের মাঝে পঁচা-বাসি খাবার সরবরাহ না করে এবং অতিরিক্ত মূল্য না রাখে এ বিষয়টি সংগঠনকে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা জেলা প্রশাসকের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হয়ে আমাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছি।

খাবার হোটেল মালিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়ে জেলা প্রশাসকের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, কুয়াকাটার খাবার হোটেল রেস্টুরেন্টে ঘণ ঘণ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অর্থদণ্ড আদায় করার প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। আকস্মিক ধর্মঘট ডাক দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন কুয়াকাটায় আগত শত শত পর্যটক। 
 
কাজী সাঈদ/আরআই