বরগুনা-ঢাকা রুটে আগের ভাড়ায় চলছে লঞ্চ
সকল রুটে লঞ্চের ভাড়া ৩০ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার। কিন্তু আগের ভাড়ায়ই চলছে বরগুনা-ঢাকা, ঢাকা-বরগুনা রুটের নৌযানগুলো। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে যাত্রীদের মধ্যে। তবে কেবিন ভাড়া অপরিবর্তিত থাকলেও ডেকে জনপ্রতি ১০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরুর দিকে ডিজেল, পেট্রল, অকটেনসহ জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। ডিজেলে প্রতি লিটারে দাম বেড়েছে ৩৪ টাকা। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে লঞ্চ ভাড়া ৩০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। যা গত ১৬ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে বরগুনা নদী বন্দর ঘুরে দেখা যায়, আগের ভাড়ায়ই চলছে ঢাকাগামী লঞ্চগুলো। দুই শ্রেণির কেবিনের ভাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে, সিঙ্গেল কেবিনে ১ হাজার ৬০০ ও ডাবল কেবিনে ৩ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। শুধুমাত্র ডেকের যাত্রীদের ভাড়া ১০০ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬০০ টাকা।
মিঠু হাসান নামে ঢাকাগামী এক যাত্রী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছে সরকার। এর মধ্যে আবার লঞ্চের ভাড়াও বাড়িয়েছে আকাশছোঁয়া। তবে বরগুনায় লঞ্চ ভাড়া তেমন বাড়েনি, ডেকে শুধু ১০০ টাকা বেড়েছে। এটাও অনেকের কাছে বেশি।
বিজ্ঞাপন
মাহফুজ রাব্বানী নামে আরেক যাত্রী বলেন, বরগুনা-ঢাকা রুটে কেবিন ভাড়া আগের মতই আছে। এতে আমরা খুশি। সরকার যে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করেছে, তা কার্যকর হলে লঞ্চে কোনো যাত্রী থাকবে না।
এমকে শিপিং লাইন্সের বরগুনা ঘাটের ব্যবস্থাপক এনায়েত হোসেন বলেন, তেলের দাম বাড়ার পর নতুনভাবে বরগুনা-ঢাকা রুটে ডেকের ভাড়া ৭৬৩ টাকা, সিঙ্গেল কেবিন ৩ হাজার ৫২ টাকা ও ডাবল কেবিন ৬ হাজার ১০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ডেক যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়া থেকে ১৬৩ টাকা কমিয়ে ৬০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। সিঙ্গেল কেবিন ৩ হাজার ৫২ টাকা করা হলেও এক হাজার ৪০০ টাকা কমিয়ে আগের মতো ১ হাজার ৬০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। আর ডাবল কেবিনেও ৩ হাজার ১০৪ টাকা কমিয়ে আগের ভাড়া ৩ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে।
বরগুনা-ঢাকা রুটে আজ একটিমাত্র লঞ্চ রয়েছে। এমভি রাজারহাট-বি নামের লঞ্চটি বিকেল ৪টায় বরগুনা নদীবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।
খান নাঈম/আরএআর