শরীয়তপুরের ডামুড্যায় সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালাগালের অডিও ভাইরাল হওয়ায় পর সেই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় জিডি হয়েছে। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সাংবাদিক আশিকুর রহমান ডামুড্যা থানায় জিডি করেন। 

সুজিত কর্মকার ডামুড্যা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

জিডি সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ আগস্ট বিকেলে স্থানীয় দুই সাংবাদিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে যান ওই স্কুলে। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে অডিও ভাইরালের বিষয় জানতে চাইলে তিনি তথ্য না দিয়ে উল্টো সাংবাদিককে সংবাদ প্রকাশ না করতে বলেন। তিনি বলেন, আমরা স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বসে আগামীকাল বিষয়টা সমাধান করব।  আপনারা চলে যান।

সেখান থেকে সাংবাদিকরা চলে গেলে সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রধান শিক্ষক সুজিত সাংবাদিক শাহাদাত হোসেনকে কল দিয়ে হত্যার হুমকি এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ফোনটি কেটে দেয়। পরে ওই দুই সাংবাদিককে রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রধান শিক্ষক কল দিয়ে একাধিকার হাত-পা ভেঙে ফেলার ও দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৭ আগস্ট অভিযুক্ত কৃষি শিক্ষা (স্কাউট) শিক্ষক রাতি কান্ত মিস্ত্রীকে সাময়িক বরখাস্ত করে তিন সদস্য বিশিষ্টি কমিটি গঠন করা হয়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গিয়াস উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি অডিওটি শুনেছি। শিক্ষক হয়ে এ রকম ভাষায় কথা বলা উচিৎ না। সাংবাদিকদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আমি বিভাগীয় কার্যালয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করব।

সাংবাদিক আশিকুর রহমান বলেন, আমরা জনগণের কথা গণমাধ্যমে প্রকাশ করি। তবে শিক্ষক হয়ে তিনি একজন মানুষের সঙ্গে এরকম ভাষায় কথা বলতে পারেন না। আমাকে ও আমার সহকর্মী শাহাদাত হোসেন হিরুকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি। আমরা জীবনের ঝুঁকিতে আছি। আমি ডামুড্যা থানায় জিডি করেছি। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে আমরা ধারাবাহিকভাকে এগিয়ে যাব।

ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফ আহম্মেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাংবাদিক আশিকুর রহমান বাদী হয়ে থানায় এসে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জিডি করেন। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসপি