বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২০ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে শহরের খুরুশকুল মোহনা ও সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের সোনাদিয়া চ্যানেল থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

খুরুশকুল মোহনা থেকে জেলের মরদেহ পাওয়ার বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) শেখ মনিরুল গিয়াস।

তিনি জানান, কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলের জাকের হোসেনের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারটি শুক্রবার (১৯ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে বঙ্গোপসাগরের নাজিরারটেক পয়েন্টে ডুবে যায়। খবর পেয়ে তল্লাশি চালিয়ে ওই দিনই ট্রলারের ১৯ জন জেলের মধ্যে আটজনকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। বাকি জেলেদের উদ্ধারে তখন থেকে কোস্টগার্ড সদস্য ও জেলেরা উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন।

আরও পড়ুন : কক্সবাজারে ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও ৬ জেলে উদ্ধার, নিখোঁজ ৫

শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে বিচ্ছিন্নভাবে ছয় জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে নিখোঁজ পাঁচজনের মধ্যে আজ বিকেলে খুরুশকুল চ্যানেলে একজনের মরদেহ ভেসে আসে। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দিলে মরদেহটি উদ্ধার করে তার পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এখনো নিখোঁজ আরও চার জেলেকে উদ্ধারে তল্লাশি চলছে।

এদিকে সোনাদিয়া চ্যানেল থেকে সাইফুল নামে এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোস্টগার্ড পূর্বজোনের কক্সবাজার স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার এম হামিদুল ইসলাম।

তিনি জানান, নিখোঁজ পাঁচ জেলের মধ্যে এই পর্যন্ত দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারের কাজ চলছে।

আরও পড়ুন : বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, ১১ জেলে নিখোঁজ

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টায় বঙ্গোপসাগরে কক্সবাজার নাজিরারটেক চ্যানেলে মাছ ধরার ট্রলার ডুবে ১১ জেলে নিখোঁজ হন। এ সময় ট্রলারে থাকা ১৯ জন জেলের মধ্যে ৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি জেলেদের উদ্ধারে তখন থেকে কোস্টগার্ড সদস্য ও জেলেরা উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন।

এর মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে বিচ্ছিন্নভাবে ছয়জন জেলেকে উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ পাঁচ জেলের মধ্যে আজ শনিবার দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সাইদুল ফরহাদ/এনএ