নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় শোকজ করায় এক মাদরাসা অধ্যক্ষকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে একই মাদরাসার হিসাব সহকারীর বিরুদ্ধে। সোমবার (২২ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সান্দিকোণা ইউনিয়নের মডেল বাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। 

আহত মাদরাসা অধ্যক্ষ এমএম মুহিববুল্লাহকে (৫০) কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি উপজেলার রোয়াইল বাড়ি আমতলা ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের মৃত শামছুদ্দিনের ছেলে এবং উপজেলার মনকান্দা এম ইউ আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ।

অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর ভূইয়া জুয়েল একই মাদরাসার হিসাব সহকারী। তিনি গন্ডা ইউনিয়নের গাড়াদিয়া গ্রামের গোলাম মোস্তফা ভূইয়ার ছেলে এবং গন্ডা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি।

আহত অধ্যক্ষ এমএম মুহিববুল্লাহ বলেন, ২০২০ সালে মাদরাসার হিসাব সহকারী পদে চাকরি হওয়ার পর থেকেই মাদরাসায় অনুপস্থিত থাকতেন জাহাঙ্গীর ভূইয়া জুয়েল। এরই মধ্যে সে একটি হত্যা মামলার আসামি হয়ে যায়। তাকে মাদরাসায় আসার কথা বললে সে জানায়- মাদরাসায় এসে আমার বেতন নিতে হবে? এসব কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। দিনের পর দিন অনুপস্থিত থাকার কারণে এরই মধ্যে গত ২০ আগস্ট তাকে শোকজ করি। এরপর থেকে সে শোকজের জবাব না দিয়ে উল্টো হুমকি দিয়ে আসছিল। সোমবার সকালে মাদরাসায় যাওয়ার পথে মডেল বাজার মোড়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জুয়েল ও তার লোকজন আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে এবং আমার মোটরসাইকেলের চাবিসহ আমার সঙ্গে থাকা মাদরাসার গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

তবে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর ভূইয়া জুয়েলের সঙ্গে কথা হলে তিনি অধ্যক্ষকে মারপিটের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। 

উল্টো অভিযোগ করে জুয়েল বলেন, ২০২১ সালের ১০ জুলাই আমাকে অন্যায়ভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং গত ২০ আগস্ট শোকজ করা হয়। তারা আমাকে মাদরাসা থেকে বের করে দিতে ষড়যন্ত্র করছে।  

এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী হোসেন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশও পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জিয়াউর রহমান/আরএআর