নোয়াখালীতে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প‌রি‌স্থি‌তি নিয়ন্ত্রণে পু‌লিশ ৮ রাউন্ড ফাঁকা গু‌লি ছোড়ে। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে জেলা শহরের টাউন হল মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। 

এ সময় ৮ পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে ৩৩ জন বিএনপি নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে সদর উপজেলা ও নোয়াখালী পৌরসভা বিএনপি। এ সময় বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদলের ৫০০ থেকে ৭০০ সমর্থক রশিদ কলোনি থেকে মিছিল নিয়ে টাউন হল মোড় পার হয়ে জেলা আওয়ামী লীগের অফিসের দিক আসতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। 

এ সময় বিএনপির সমর্থকরা পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। তাদের ইটের আঘাতে ৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৮ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএনপির ৩৩ নেতা-কর্মীকে আটক করে। 

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটকদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।

এর আগে গতকাল (২২ আগস্ট) নোয়াখালী সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ পাঁচ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে গ্রেপ্তারদের নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। 

গ্রেপ্তাররা হলেন, নোয়াখালী সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইমাম হেসেন রায়হান, দাদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মাজেদুল করিম মুন্না , ২০ নং আন্ডারচর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি প্রার্থী ডাক্তার মাইন উদ্দিন ও ১১ নং নেয়াজপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য অলি উল্যাহ রিপন।  

হাসিব আল আমিন/আরআই