শিশু তন্নী হত্যার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি আসামিদের
কাউনিয়ার শিশু তন্নী হত্যা মামলা নিরপেক্ষভাবে তদন্তের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অভিযুক্ত প্রধান দুই আসামি কবির খান ও জসিম উদ্দিন। মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে তারা দাবি করেন, চলতি বছরের ২৭ মে মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানার ৪ নম্বর শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের ছোট রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা সোহরাব হাওলাদারের পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ১৩ বছরের শিশু তন্নী আক্তার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। মরদেহ উদ্ধারের ৮ দিন পরে মারা যাওয়া তন্নীর মা লিপি আক্তার, কবির খান ও ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জসীম উদ্দিনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন সোহরাব হাওলাদার।
বিজ্ঞাপন
মামলার প্রধান আসামি কবির খান দাবি করেন, ঘটনাস্থল থেকে তার বাড়ি পাঁচ কিলোমিটার দূরে। কিন্তু মামলার বাদীর বসতঘরের চারপাশে তার জমি আছে। সেই জমি দীর্ঘদিন ধরেই কিনে নিবে বলে আশ্বাস দিয়ে আসছিলেন। বাদী সেই জমি দখলের পাঁয়তারাও করছিলেন, যা নিয়ে তাদের দুই ভাইয়ের সঙ্গে বিরোধও হয়।
কবির খান বলেন, আমি সোহরাব হাওলাদারের প্রতিবেশী কবির খলিফার মাধ্যমে জানতে পারি, তন্নী আক্তারকে তার মা লিপি আক্তার শাষণ করে মারধর করার কারণে অভিমানে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। অথচ ঘটনার ৮দিন পর আমাকে পরিকল্পিতভাবে এই মামলায় আসামি করা হয়।
বিজ্ঞাপন
আমি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে হত্যায় অভিযুক্ত কারাগারে থাকা তন্নীর মা লিপি আক্তারের সঙ্গে দেখা করলে তিনি জানান, মামলার বাদী সোহরাব ও তার ভাই ইউসুফের মারধরে পুলিশ ও আদালতে মিথ্যা জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলার অপর আসামি ইউপি মেম্বার জসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনার দিন পথে আমার সঙ্গে সোহরাব হাওলাদারের দেখা হয়। তিনি কান্না করে আমাকে জড়িয়ে ধরে জানান, তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি তাকে আমার নৌকায় করে খাল পার করে দিই। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেখানে আমাকে ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মারা যাওয়া তন্নীর মামা মাছুম। তারা সকলেই মামলার সুষ্ঠ তদন্তের দাবি জানান।
মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সগীর হোসেন বলেন, মামলাটি এখন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত করছে। তবে যতটুকু জানি চার্জশিট দাখিল হয়নি। আমরা ধারণা করছি, মামলার আসামিরা বাদীর সঙ্গে যেকোনো উপায়ে সমঝোতা করেছেন।
কারণ কয়েকদিন আগে বাদী এসেছিলেন হত্যায় অভিযুক্ত কারাগারে থাকা তার স্ত্রী লিপি আক্তারকে জামিনে কীভাবে নিতে পারেন, তার পরামর্শ নিতে। একবার না, কয়েকবারই এসেছিলেন। আমরা চাই, এই ঘটনায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হোক।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই