বাগেরহাটে বিভিন্ন দাবিতে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে শহরের পুরাতন বাজার মোড়ে পৌর বিএনপির আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দলটি। মিছিল শেষে ফেরার পথে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হামলায় বিএনপির অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। 

এ ছাড়া দশ-পনেরটি মোটরসাইকেল ও এক বিএনপি নেতার অফিস ভাংচুর করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম।

জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ভোলায় ছাত্রদল সভাপতিসহ দুজন খুন ও নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা-হামলার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে বক্তব্য দেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম, বিএনপি নেতা ও বাগেরহাট ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ মুজিবর রহমান, বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম গোরা, শাহেদ আলী রবি, লিয়াকত সর্দার প্রমুখ।

এতে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশের আয়োজন করি। মিছিল শেষে যখন আমাদের নেতা-কর্মীরা ফিরে যাচ্ছিলেন, সে সময় হামলা হয়। 

হামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য শেখ মুবির রহমান, বিএনপি নেতা আফজাল হোসেন, এসকে বদরুল আলম, ফিরোজ তালুকদার, শাওন, ইয়াছিন মোল্লা, বাচ্চু আকনসহ ৩০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের আমরা হাসপাতালেও নিতে পারছি না। এ ছাড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জাকির হোসেনের অফিসসহ বেশকিছু নেতা-কর্মীর বাড়িঘর ও অন্তত ১৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

কেন্দ্রীয় বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান বলেন, আমাদের সমাবেশে পুলিশ বাধা দিয়েছে। আবার পুলিশের সামনেই ক্ষমতাসীন দলের লোকজন আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। আমরা হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।

তবে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ অস্বীকার করে বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ভূঁইয়া হেমায়েত উদ্দিন বলেন, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কোনো নেতা-কর্মী জড়িত নয়।

এদিকে শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগের দুটি সহযোগী সংগঠনের পৃথক পৃথক মোটরসাইকেল বহর বাগেরহাট শহরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

তানজীম আহমেদ/আরআই