প্রথমে বরের হাত-পা বেঁধে ফেলে ডাকাত দল। তারপর অস্ত্রের মুখে বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে স্বর্ণালংকারসহ সব লুট করে নেয়। নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার রামনারায়ণপুর ইউনিয়নে ইতালি প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় চার ডাকাতকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম এ তথ্য জানান। 

শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, আমরা চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছি। এরা নোয়াখালীসহ সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করে। কোনো বাড়িতে প্রবাসী আসলে তারা টার্গেট করে ডাকাতি করে।  

জানা যায়, গত ১৮ আগস্ট নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার রামনারায়ণপুর ইউনিয়নে ইতালি প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় তারা ৮ ভরি স্বর্ণের গহনা, ১৩ ভরি রুপার গহনা, ৮টি মুঠোফোন ও নগদ সাড়ে চার লাখ টাকা লুট করে নেয়। পরে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে চার ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি করা দুটি মুঠোফোন ও নগদ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার পশ্চিম পরকোট ইউনিয়নের মৃত নুর মিয়া পাটোয়ারীর ছেলে ফরজ আলী জাহাঙ্গীর ওরফে কালা জাহাঙ্গীর (৪৪), লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ডুমরিয়া গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে মো. মহসিন (৪৯), হাজী বাড়ির আবু তাহেরের ছেলে মো. কামাল হোসেন (৩২) ও সদর উপজেলার উত্তর মজিবুর গ্রামের নুর আলমের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পিচ্ছি জাহাঙ্গীর (২৪)।

পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা অন্য এক স্থানে ডাকাতির পরিকল্পনাকালে তাদের গ্রেপ্তার করি। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি কাঠের বাট যুক্ত দেশীয় তৈরি এক নলা বন্দুক,  চারটি কার্তুজ, একটি লোহার তৈরি কোড়া বাটিল, একটি লোহার তৈরি কাটার, একটি স্টিলের চাপাতি,  একটি প্লাস্টিকের বাট যুক্ত ছোরা ও লুণ্ঠিত ২টি ভিভো মোবাইল সেট ও নগদ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। 

তিনি বলেন, আমরা আসামিদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। তারা মূলহোতার কথা বলেছে। আজ আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। বাকি ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) মো. মোর্তাহীন বিল্লাহ, সহকারী পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) নাজমুল হাসান রাজিব, চাটখিল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ  উপস্থিত ছিলেন।

হাসিব আল আমিন/আরএআর