ওএমএস কার্যক্রমে অনিয়ম পেলে ৩৩৩ নম্বরে কল করুন
ওএমএস কার্যক্রমে বিভাগের কোথাও অনিয়ম চোখে পড়লে ৩৩৩ নম্বরে কল করার আহ্বান জানিয়েছেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান। তিনি বলেন, ওএমএস কার্যক্রম অতিদরিদ্রদের জন্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি কার্যক্রম। সরকার এর মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষকে সহজে খাদ্য সহায়তা প্রদান করছেন। ফলে এই কর্মসূচিতে যেকোনো অনিয়ম কঠোর হাতে প্রতিরোধ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশাল সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
আমিন উল আহসান বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে এবার আরও বেশি সতর্ক অবস্থানে রয়েছি আমরা। অনিয়ম যেন না হতে পারে, সহজে যেন গরিব মানুষ চাল কিনতে পারেন এসব মনিটরিং করতে জেলা উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, খাদ্য কর্মকর্তারা কাজ করছেন। প্রতিটি বিক্রয় কেন্দ্রে এক একজন ট্যাগ অফিসার নিযুক্ত করা হয়েছে।
তারপরও কোথাও অনিয়ম ধরা পড়লে যিনি অনিয়ম করবেন তাকে আগে কারাগারে যেতে হবে। তার ডিলারশিপ বাতিল করা হবে। এরপরে প্রচলিত আইন অনুসারে তার বিচার হবে।
বিজ্ঞাপন
জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই মিট দ্য প্রেসে বিভাগী কমিশনার জানান, সারা দেশে চালের মূল্য স্থিতিশীল রাখা, নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বল্প মূল্যে খাদ্য সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সরকার চলমান ওএমএস কার্যক্রমে আওতা সম্প্রসারণ করেছে। বিভাগে পূর্বে ৩৬টি ডিলার পয়েন্ট ছিল, যা বাড়িয়ে ১৫৪ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন প্রতি ডিলার দুই মেট্রিক টন চাল ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করবেন।
এতে করে বিভাগে দিনে ৬১ হাজার ৬০০ জন স্বল্প আয়ের মানুষ সুলভমূল্যে চাল কিনতে পারবেন। এ ছাড়া আটার মূল্য স্থিতিশীল রাখতে বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় ১১ জন দোকান ডিলারের মাধ্যমে ডিলার প্রতি ৫০০ কেজি চাল এবং ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি করবেন। টিসিবির কার্ডধারীগণ চাল-আটা ক্রয়ের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। আজ (১ সেপ্টেম্বর) থেকে তারা ১৫ টাকা কেজি দরে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই ৩ মাস প্রতি মাসে ৩০ কেজি হারে চাল কিনতে পারবেন।
আমিন উল আহসান বলেন, বিভাগে তালিকাভুক্ত ভোক্তা ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৪৯৩ জন। বিভাগের ৪২টি উপজেলার ৩৬০টি ইউনিয়নে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। বিভাগে খাদ্যবান্ধব খাতে প্রতি মাসে মোট বরাদ্দ ১৪ হাজার ৬০৬ দশমিক ৭৯০ মেট্রিক টন চাল।
এর আগে সকাল ৯টায় বঙ্গবন্ধু উদ্যোনে কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন মেট্রোপলিটন কমিশনার সাইফুল ইসলামসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, খাদ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই