মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিমান থেকে নতুন করে আরও দুটি গোলা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিক্ষেপ করা হয়েছে। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় গোলা দুটি পড়ে। এর আগে গত সপ্তাহের রবি ও বৃহস্পতিবারও মিয়ানমার থেকে মর্টার শেল এসে পড়ে বাংলাদেশে।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. তারিকুল ইসলাম আজ দুটি গোলা বাংলদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের কাছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান এবং দুটি ফাইটিং হেলিকপ্টার টহল দেয়। যুদ্ধবিমান থেকে প্রায় ৮-১০টি গোলা ছোড়া হয় আর হেলিকপ্টার থেকেও ৩০-৩৫টি গুলি করা হয়। এ সময় বাংলাদেশের সীমানা পিলার ৪০-এর ১২০ মিটার অভ্যন্তরে যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা এসে পড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সীমান্ত পিলার ৩৪-৩৫ এর মাঝামাঝি মিয়ানমার অংশের একটি ক্যাম্প থেকে চার রাউন্ড ভারী অস্ত্রের গুলি করা হয়। এখনো (শনিবার দুপুর) মিয়ানমারের মুরিঙ্গাঝিরি ক্যাম্প ও তুমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে থেমে থেমে গোলাগুলি চলছে। এ ঘটনায় আতঙ্কে আছেন স্থানীয়রা।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, তমব্রু সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রোববার দুটি এবং বৃহস্পতিবার একটি মর্টারশেল এসে পড়েছে। আজ আবার গোলা এসে পড়ল। এতে সীমান্তে বসবাসকারীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, নাইক্ষ্যৎছ‌ড়ির ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় আছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ আগস্ট বিকেল ৩টার দিকে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা দুটি মর্টার শেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে পড়ে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল সেগুলো নিষ্ক্রিয় করেন।

এসপি