রংপুরের তারাগঞ্জে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক যাত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা ছাত্রলীগ। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে ছুটে যান রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাব্বির আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম তানিম আহসান চপল। 

রাত থেকে আহত যাত্রীদের জন্য রক্ত সংগ্রহ, প্রয়োজনীয় ওষুধ, স্যালাইন ও খাবার পানি সরবরাহ করেন তারা। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানিম আহসান চপল নিজেও চিকিৎসাধীন এক মুমূর্ষু রোগীকে এক ব্যাগ রক্ত দিয়েছেন।

রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাব্বির আহমেদ বলেন, স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাছে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ রাতেই হাসপাতালে ছুটে যাই। এ সময় অর্ধশতাধিক আহত ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় ওষুধ, স্যালাইন, খাবার ও রক্তের ব্যবস্থা করে দেই। 

এদিকে সেমবার (০৫ সেপ্টেম্বর)  দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর  আঞ্চলিক সড়কের তারাগঞ্জে খারুভাজ সেতুর কাছে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে পাঁচজন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও চারজন মারা যান। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক যাত্রী।

রমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. ফরহাদুজ্জামান জানান, রাত ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজন এবং ভোরে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ৫৮ জন আহত বাসযাত্রী আসেন। এর মধ্যে কেউ কেউ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। আহত বাকিদের মধ্যে আরও দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

স্থানীয়রা জানায়, রাত থেকে প্রচণ্ড বৃষ্টি হয় ওই এলাকায়। বৃষ্টির মধ্যেই রাত সোয়া ১২টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর  আঞ্চলিক সড়কের শলেয়াশাহ খারুভাজ সেতুর কাছে জোয়ানা পরিবহনের সঙ্গে ইসলাম পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা বৃষ্টিতে ভিজে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেন।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এসপি