রংপুরের তারাগঞ্জে দুর্ঘটনাকবলিত যাত্রীবাহী বাসের লকারে রাখা ছিল চারটি গরু। এর মধ্যে দুর্ঘটনার সাত ঘণ্টা পর দুটি গরু জীবিত উদ্ধার করা হলেও বাকি দুটি মারা গেছে।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে রেকার দিয়ে বাস দুটি টেনে দুই কিলোমিটার দূরে বালুবাড়ি হাইওয়ে থানার সামনে রাখা হয়। এরপর ইসলাম এন্টারপ্রাইজের বাসটি থেকে চারটি গরু উদ্ধার করা হয় বলে জানান স্থানীয়রা।

প্রত্যক্ষদর্শী রহিম জানান, সকাল ৮টার দিকে উৎসুক কিছু মানুষ বাস দুটির ভেতরে, সামনে পেছনে গিয়ে দেখছিলেন। এ সময় ইসলাম এন্টারপ্রাইজের বাসটির লকার থেকে শব্দ শুনতে পেয়ে লকার ভেঙে সেখান থেকে গুরুতর অবস্থায় দুটি গরু বের করে আনেন স্থানীয়রা। 

এর আগে রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের তারাগঞ্জের খারুভাজ সেতুর কাছে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে পাঁচজন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজন মারা যান। আহতদের মধ্যে অন্তত ৫০ জনকে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং রমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ২০ জন রমেক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৫ জন। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের পরিচালক ডা. শরীফুল হাসান দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় ৯ জন নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় মিলেছে।

নিহতরা হলেন- তারাগঞ্জের হাড়িয়ালকুঠি এলাকার আনোয়ার হোসেন (৩৫), সৈয়দপুরের কুণ্ডল এলাকার মহসিন হোসেন ( ৪২), পল্লী চিকিৎসক আনিছুর রহমান (৪৮), ধনঞ্জয় রায় (২৭), জীবন রহমান (২৮), সৈয়দপুরের কামারপুকুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অলিউল হাসান জুয়েল (২২) ও গাইবান্ধার সাদেক আলী (৬৫)। অপর দুজনের পরিচয় জানা যায়নি। মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর