যশোরে গত আট মাসে তিন হাজার ২৩ জন যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা ৭৬ জন। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। যক্ষ্মা রোগীদের মধ্যে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন ৩৩২ জন। এছাড়া গোটা জেলায় এ রোগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ২ হাজার ৬৯১ জন। 

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রেডক্রিসেন্ট যশোরের মিলনায়তনে অ্যাডভোকেসি সভায় এ তথ্য উপস্থাপন করে ব্র্যাক। 

ব্র্যাক যশোরের সহযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) যশোর জেলা শাখার উদ্যোগে এ অ্যাডভোকেসি সভায় বক্তারা বলেন, জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ছে। মানুষের শারীরিক কোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন ঘটলেই চিকিৎসকের কাছে ছুটে আসছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে যক্ষ্মা রোগী সনাক্তের জন্য জেলায় জেলায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার হারও বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে অত্যাধুনিক জিন এক্সপার্ট মেশিনের সাহায্যে যক্ষ্মা রোগী সনাক্তের শতভাগ নির্ভুল পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। তারপরেও সম্পূর্ণ সরকারি খরচে যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও জনসচেনতার অভাবসহ নানা কারণে এখনও অনেক মানুষ চিকিৎসা কেন্দ্রে যান না। তাই সামাজিক আন্দোলন দরকার। এ আন্দোলন ছাড়া যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। সভা থেকে আশাপাশের কারও দুই সপ্তাহের বেশি কাশি, সন্ধ্যায় জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং খাবারে অরুচি হলে কফ পরীক্ষা করতে উৎসাহিত করা হয়। এজন্য নেতৃবৃন্দ বিনামূল্যে পরীক্ষা ও যক্ষ্মারোগ নির্ণয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানান। 

জেলা নাটাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর সাদিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর সিভিল সার্জনের মেডিকেল অফিসার ডা. রেহেনেওয়াজ। 

এসময় বক্তব্য রাখেন যশোর সিভিল সার্জন অফিসের শিক্ষা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এম বাতেন, জেলা নাটাবের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান, ব্র্যাক যশোরের এরিয়া সুপারভাইজার শেখ শরিফুল ইসলাম।

এ্যান্টনি দাস অপু/এমএএস