পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর তাঁতেরকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগের দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। 

মহিপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাউফল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। 

এদিকে হামলার পর থেকে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) নজিরবিহীন নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে নির্বাচন শেষ হয়। ওই দিন বিকেল ৫টার দিকে ছোট ডালিমা নাজিরপুর হাইস্কুল কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণার পর ওই কেন্দ্র থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি বাউফল শহরের উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথে নৌকার দেড়শ-দুইশ কর্মী-সমর্থক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ও পুলিশের গাড়িতে হামলা চালায়। এতে দুমকি থানার এএসআই দীপক, কনস্টেবল মো. রাহাত ও মহিপুর থানার কনস্টেবল আবু সালেহ মোহাম্মদ সজিব গুরুতর আহত হন। এ সময় হামলাকারীরা পুলিশের স্ট্যান্ডবাই-১ গাড়ির পেছনের গ্লাস ভাঙচুর করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে নিরাপদে নিয়ে আসেন। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সিজান মাহমুদ (১৯), আরিফুর রহমান (২৫), আনোয়ার মোল্লা (৩৮), মো. ইউনুচ (৩০), জাহিদুল ইসলাম (১৯), আনিচুর রহমান মুন্সি (৪৫), সজিব হাওলাদার (২২), জুয়েল চৌকিদার (২৭), হাফিজুর রহমান (৬২) ও জহিরুল ইসলাম (৪২)। তারা সবাই ওই ইউনিয়নের নাজিরপুর ও ছোট ডালিমা গ্রামের বাসিন্দা।

বাউফল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ছোটডালিমা নাজিরপুর হাইস্কুল কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। কিন্তু ফলাফল ঘোষণার পর যারা পুলিশের ওপর হামলা করেছে ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। কিছু আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। 

তিনি আরও বলেন, নৌকা প্রতীকের সমর্থক ও চশমা প্রতীকের সমর্থকদের উভয়ের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লিখিতভাবে কেউ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাহমুদ হাসান রায়হান/আরএআর