সাগরে প্রচুর ইলিশ, ঢেউয়ের তাণ্ডবে টিকতে পারছে না ট্রলারগুলো
সাগরে প্রচুর রুপালি ইলিশ ধরা পড়ছে। জাল ফেললেই ইলিশ পাচ্ছেন জেলেরা। মৎস্য সংশ্লিষ্ট সকলের মুখে ফুটছে হাসির ঝিলিক। এ নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছিল উপকূলের মাছের মোকামগুলোতে। ঠিক সেই মুহূর্তেই বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সাগর প্রচণ্ড উত্তাল হয়ে উঠেছে।
ঢেউয়ের তাণ্ডবে টিকতে না পেরে গত শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার আলীপুর ও মহিপুরে খাপড়াভাঙ্গা নদীর দুই তীরে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে কয়েক হাজার মাছ ধরা ট্রলার।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় ও জেলেদের সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করতে যায় জেলেরা। এরপর সাগর বক্ষে জাল পাতে তারা। দেখা মেলে কাঙ্খিত সেই রুপালি ইলিশ। কিন্তু লঘুচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল হওয়ায় ঢেউয়ের তাণ্ডব সইতে না পেরে ইতোমধ্যে হাজারো ট্রলার আন্ধারমানিক, রাবনাবাদ, সোনাতলা নদীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, পূর্ব মধ্য-বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘু চাপটি বর্তমানে পশ্চিম মধ্য-বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এজন্য পায়রা সমুদ্রবন্দর সমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া বঙ্গোপসাগরের অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে
বিজ্ঞাপন
সাগর থেকে ফিরে আসা ট্রলারের মাঝি ইউনুচ মিয়া জানান, মাত্র কয়েকদিন ধরে জালে ইলিশের দেখা মিলেছে। হঠাৎ করে সাগর রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। অস্বাভাবিক ঢেউয়ের তাণ্ডবে টিকতে না পারায় মাছ শিকার বন্ধ করে ট্রলার নিয়ে তীরে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে তারা।
আলীপুর মৎস্য আড়ৎ সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা ঢাকা পোস্টকে বলেন, বর্তমানে সাগর চরম উত্তাল থাকায় হাজার হাজার মাছ ধরা ট্রলার মহিপুর ও আলীপুর ঘাটে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে এসেছে।
কাজী সাঈদ/এমএএস