পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন ৯ বার, জামিনে বেরিয়ে ফের গাড়ি চুরি
মোবারক হোসেনের পেশা মোটরসাইকেল, সিএনজি ও অটোরিকশা চুরি করা। এ কাজে বেশ পারদর্শী হওয়ায় পেশাদার চোর হিসেবেও তার খ্যাতি রয়েছে। এজন্য চুরি বিদ্যায় পারদর্শীদের নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন সিন্ডিকেট।
এদিকে চুরির ঘটনায় মোবারক ৯ বার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন। জেলও খেটেছেন অনেকবার। এতেও তিনি দমে যাননি। চুরি যেন তার রক্তে মিশে আছে। জামিনে কারাগার থেকে বের হয়েই পুরোদমে চুরিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এবার চার সহযোগীকে নিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন। তাদের কাছ থেকে পাঁচটি চোরাই মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) পলাশ কান্তি নাথ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মংনেথোয়াই মারমা, ডিআইওয়ান একেএম আজিজুর রহমান মিয়া, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল ও গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন টিটো প্রমুখ।
বিজ্ঞাপন
চোরচক্রের প্রধান মোবারক রায়পুরের কেরোয়া ইউনিয়নে দক্ষিণ কেরোয়া গ্রামের বাসিন্দা। অন্যরা হলেন- সদর উপজেলার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের মো. সাত্তার, পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড বাঞ্চানগর এলাকার বেলাল, চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের চাংপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম রবু, একই উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের মো. সোহেল। তারা পেশাদার চোর বলে জানা গেছে।
এসপি বলেন, সম্প্রতি জেলায় মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে। পুলিশ চোর ধরতে অভিযানে নেমেছে। শনিবার অভিযানে চাঁদপুর জেলার কচুয়াসহ বিভিন্ন স্থান থেকে পাঁচটি চোরাই মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত চোরাই অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রায়পুরের কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) সিরাজুল ইসলাম শিপন মোল্লা বলেন, মোবারক চিহ্নিত চোর। প্রথমে এলাকায় চুরি-ছিনতাই করত। এখন সে এলাকায় থাকে না। পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই।
হাসান মাহমুদ শাকিল/এসপি