নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। 

দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরাম সূত্রে জানা যায়, বিগত দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় নেতাদের নতুন কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যমান কমিটি বিলুপ্ত করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

নতুন কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে ২০১৬ সালে বিএনপির মনোনয়নে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে। সদস্য সচিব করা হয়েছে জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ও বিলুপ্ত নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে। কমিটিতে ১০ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রাখা হয়েছে। বাকিরা সদস্য হিসেবে আছেন।

এর আগে ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এটিএম কামাল। আংশিক কমিটি ঘোষণার পৌনে ৩ বছর পর ১৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। 

ঘোষিত নতুন কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছেন তারা হলেন- আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ূন কবীর, আবদুস সবুর সেন্টু, হাজী নূর উদ্দিন, আতাউর রহমান মুকুল, মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, ফতেহ মো. রেজা রিপন, এম এইচ মামুন ও আবুল কাউসার আশা।

সদস্য হিসেবে আছেন অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, হাজী ফারুক হোসেন, আওলাদ হোসেন, শওকত হাশেম শকু, হাসান আহমেদ, মাহাবুব উল্লাহ তপন, মাসুদ রানা, ডা. মজিবর রহমান, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, রাশিদা জামাল, অ্যাডভোটেক এইচ এম আনোয়ার হোসেন, হান্নান সরকার, অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন, হাবিবুর রহমান দুলাল, হাবিবুর রহমান মিঠু, মনোয়ার হোসেন শোখন, মো. বরকত উল্লাহ, মো. আলমগীর হোসেন, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মোল্লা, শহিদুল ইসলাম রিপন, আমিনুল ইসলাম মিঠু, ফারুক আহমেদ রিপন, মাহমুদুর রহমান, অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু, শাখাওয়াতুল ইসলাম রানা, মো. ফারুক হোসেন, কামরুল হাসান সাউদ চুন্নু, হুমায়ূন কবীর ও শাহিন আহম্মদ।

আরএআর