ফরিদপুরের সকল পথে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাস শ্রমিকরা। দুটি বাসের চালক ও একটি বাসের সুপারভাইজারকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্য মারধর করার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে তারা।

এর আগে বিকেল সোয়া তিনটার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে শহরের গোয়ালচামট মহল্লায় অবস্থিত ফরিদপুরের নতুন পৌর বাসস্ট্যান্ডের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এর ফলে ঢাকাসহ ফরিদপুরের বিভিন্ন পথে চলাচলকারী যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছে।

কয়েকজন বাস শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিকেল তিনটা দশ মিনিটের দিকে মাদারীপুরের টেকেরহাট থেকে ফরিদপুর ও বোয়ালমারী থেকে ফরিদপুরে আসা দুটি বাস টার্মিনালে ঢুকছিল। এ সময় সড়কের পাশে ইজিবাইক দাঁড়িয়ে থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। ওই সময় পুলিশের একটি পিকআপ রাজবাড়ী রাস্তার মোড় থেকে ফরিদপুর শহরের দিকে আসার পথে নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা অতিক্রম করছিল। নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যানজট সৃষ্টি হওয়ায় পুলিশের ওই গাড়ি থেকে সাদা পোশাকের কয়েকজন পুলিশ সদস্য বের হয়ে প্রথমে বোয়ালমারী থেকে আসা বাসের চালক মো. আমির হোসেনকে (৫০) সিটে থাকা অবস্থায় জানালা দিয়ে পেটায়। ওই চালক গাড়ি বন্ধ করে বের হয়ে এলে তাকে আবার লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। 

একই সময় সাদা পোশাকধারী ওই পুলিশ সদস্যরা টেকেহাট থেকে আসা বাসের সুপারভাইজার মো. রেজাউল (৩০) ও চালক ঝন্টু খানকেও (৪৫) চর থাপ্পড় ও ঘুষি মারে।

ফরিদপুর মোটর ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মো. নাসির বলেন, তিনি ঘটনার সময় বাসায় ছিলেন। পরে বাসস্ট্যান্ডে এসে জানতে পারেন পুলিশের একটি গাড়ি থেকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা নেমে বাসের দুই চালক ও এক সুপারভাইজারকে মারধর করেছে। এ ঘটনার পর থেকে বাস শ্রমিকরা ফরিদপুর থেকে সব পথে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। 

তিনি বলেন, এরপর শ্রমিকরা নতুন বাসস্ট্যান্ডের সামনের সড়কে জড়ো হয়ে ১০ মিনিটের জন্য এ হামলার ঘটনার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানায়। 

ফরিদপুরের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক তুহিন লস্কর বলেন, ঘটনাটি একটি পুলিশের গাড়ি থেকে নেমে ঘটানো হয়েছে এটা সত্য। তবে গাড়িটি ফরিদপুর জেলা পুলিশের নয়।

তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে দেখেছি সেটি রেজিস্ট্রেশনবিহীন পুলিশের গাড়ি। সেটি হাইওয়ে পুলিশ কিংবা পিবিআই বা পুলিশের অন্যকোনো ইউনিটের কীনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

জহির হোসেন/এমএএস