কুষ্টিয়া শহরে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুমারখালী উপজেলার পূর্ব লাহিনীপাড়ার মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে শাহাদত হোসেন স্বাধীন (৪৭), পূর্ব থানাপাড়া একতারা মোড় এলাকার মৃত জয়েন উদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলাম মন্টু (৫৭) ও তার স্ত্রী বেদেনা ইসলাম (৫০)। 

রায় ঘোষণার সময় নুরুল ইসলাম মন্টু এবং তার স্ত্রী বেদেনা ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। আদালত সাজা পরোয়ানাসহ তাদেরকে গ্রেপ্তারের আদেশ দিয়েছেন। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে ২ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া শহরের হরিশংকরপুর মোহাম্মদীয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার ৮ম শ্রেণির ওই ছাত্রী কাগজ কলম কেনার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। প্রতিবেশী স্বাধীনের সঙ্গে দেখা হলে তিনি কাগজ কলম কেনার কথা বলে তাকে অটোরিকশায় করে সিঙ্গার মোড় এলাকায় আসামি নুরুল ইসলামের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ঘটনার দিন বিকেলে এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই লিপন সরকার ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আজ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, ধর্ষণ মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদেরকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। 

রাজু আহমেদ/আরএআর