হলুদ ফুলে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন
দিগন্তজোড়া ফসলি জমি। ছেয়ে গেছে হলুদ ফুলে। যতদূর চোখ যায় হলুদ আর হলুদ। হলুদের সমারোহে সজ্জিত সরিষার ফুলে ফুলে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মতে, চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রামের নয় উপজেলার ১৩ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষাচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১২ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। অনেক জমিতে সরিষাচাষের প্রক্রিয়া চলছে।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরিষা জমিতে বপনের পর পরিপক্ক হতে তিন মাস সময় লাগে। বপনের এক মাস পর ফুল আসে। দেড় মাসে ফুলে সরিষা ধরে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের সাইফুর বলেন, আমি ৪ একর জমিতে সরিষা চাষ করেছি। ফলন বাম্পার হয়েছে। বাজার ভালো থাকলে ২ হাজার টাকা মণ বিক্রি করতে পারব।
ওই গ্রামের খালেক ও বাচ্চা মিয়া বলেন, আমাদের সরিষা ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল এবং বাজারে দাম ভালো থাকলে লাভবান হতে পারব। বাজার পড়ে গেলে ক্ষতির মুখ দেখতে হবে।
বিজ্ঞাপন
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, কুড়িগ্রামে সরিষাচাষে প্রতিবিঘা জমিতে ব্যয় হয় ৩-৪ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে প্রতিবিঘা জমিতে ৮-১০ হাজার টাকা লাভ হবে। সরিষা ক্ষেতকে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এঁটেল মাটিতে সরিষার চাষ হয়। এঁটেল-দোআঁশ মাটিতে সরিষার চাষ ভালো হয়। ফলন ভালো হলে প্রতিবিঘা জমিতে ৫-৬ মণ সরিষা পাওয়া যাবে। তবে বেশি কুয়াশা সরিষা ক্ষেতের ক্ষতি করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সঠিক পরিচর্যা ও আবহাওয়া অনুকূল থাকলে কুড়িগ্রামে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
এসপি