এসএসসি পরীক্ষার ২য় দিনে কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করার সময় মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষার হলে অবস্থান করায় কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার এক কেন্দ্রের ৪ শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

প্রত্যাহার হওয়া শিক্ষকরা হলেন, মুগগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল হোসেন চৌধুরী, হরিপুর আগানগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রবিউল আউয়াল, শীলমুড়ি রাজ রাজেশ্বরি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জয় চন্দ্র দে এবং হরিপুর আগানগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাসান সাঈদ।

শনিবার(১৭ সেপ্টেম্বর) জেলার বরুড়া উপজেলার বাতাইছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। কেন্দ্র সচিব মোহাম্মদ উল্ল্যাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এসএসসি পরীক্ষার বাংলা ২য় পত্রের দিন বরুড়া উপজেলার বাতাইছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ২ ও ৬ নম্বর কক্ষে পর্যবেক্ষককের দায়িত্বে থাকা ৪ শিক্ষক মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করে সেগুলো জমা না দিয়ে নিজের সঙ্গে রেখেই পরীক্ষার হলে অবস্থান করেন।

বিষয়টি বরুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা আফরিন মুস্তফাকে জানালে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বললে কেন্দ্র সচিব মোহাম্মদ উল্ল্যাহ ওই ৪ শিক্ষককে কেন্দ্র থেকে পরবর্তী পরীক্ষাগুলোর জন্য প্রত্যাহার করেন। ওই ৪ শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার কারণ ব্যাখ্যা করে আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে।  

একই দিন ওই কেন্দ্রে নকল করার দায়ে মো. আরমান হোসাইন উজ্জ্বল নামের এক পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃত আরমান হোসেন উজ্জ্বল বাতাইছড়ি এলাকার আলফু মিয়ার ছেলে। 

বাতাইছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিব মোহাম্মদ উল্ল্যাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরীক্ষার হলে দায়িত্বে অবহেলা করায় ৪ শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। পরীক্ষার হলে কোনো অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। 

বরুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা আফরিন মুস্তফা ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরিফ আজগর/এমএএস