ভোলার চরফ্যাশনে দেশি প্রজাতির পাতিহাঁস পরপর দুই দিন কালো ডিম পেড়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের রাঢ়ীর বাড়ির প্রবাসী আবদুল মতিনের স্ত্রী তাসলিমা বেগমের ঘরোয়া খামারে। আশ্চর্যজনক এ ঘটনা নিয়ে চরফ্যাশন উপজেলাসহ অন্যান্য এলাকার মানুষের মাঝেও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। দূর থেকে লোকজন এখন ডিম দেখতে আসছেন।

তাসলিমা বেগম জানান, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি নিজ বাড়িতে হাঁস-মুরগি লালন-পালন করে আসছিলেন। বর্তমানে তার বাড়ির নিজস্ব খামারে ১১টি দেশি পাতিহাঁস রয়েছে। এর মধ্য থেকে সবচেয়ে বড় হাসঁটি বুধবার প্রথম ডিম দেয়। ডিমটি অস্বাভাবিক কালো দেখে তিনি ভয় পেয়ে আশপাশের লোকজনকে দেখান। 

অস্বাভাবিক কালো ডিম দেখে সবার মধ্যে এক ধরনের কৌতূহলের সৃষ্টি হয়। ঘটনাটি পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার আবারও একটি কালো ডিম দেয়। এতে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

অন্য এলাকা থেকে দেখতে আসা রেদওয়ান বলেন, দেশি হাঁস কালো ডিম দিয়েছে শুনে আশ্চর্য হয়েছি। তাই সেই ডিমগুলো নিজের চোখে দেখার জন্য বন্ধুদের নিয়ে ছুটে এসেছি। এ রকম ঘটনা আগে কখনো শুনিনি। ডিমগুলো দেখে আশ্চর্য হয়েছি।

এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মণ্ডল জানান, ভোলার চরফ্যাশনে এই প্রথম একটি দেশি প্রজাতির হাঁস কাল ডিম দিয়েছে। বাংলাদেশে কালো ডিম দেওয়ার মতো প্রজাতির কোনো হাঁস নেই। তবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কালো ডিম দেওয়ার মতো প্রজাতির হাঁস রয়েছে।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনটি কারণে এ রকম ঘটনা হতে পারে। প্রথমত, অন্য কোনো হাঁস তাসের এই হাঁসের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে প্রজনন হতে পারে। দ্বিতীয়ত, কোনো কালো খাবার খাওয়ার কারণে হতে পারে। এছাড়া তৃতীয়ত, জরায়ুতে রক্তক্ষরণের কারণে এরকম ঘটনা হতে পারে।

এ হাঁসটিকে তারা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ রেখেছেন সাত দিন পরে বিস্তারিত ধারণা পাবেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ওএফ