ইউএনও দীপক কুমার দেব শর্মা

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপক কুমার দেব শর্মাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। 

গত বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসন থেকে এক চিঠির মাধ্যমে ইউএনওর কাছে জবাব চাওয়া হলেও শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি জানা গেছে। ইউএনও দীপক কুমার দেব শর্মা ওই উপজেলার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভাপতি।

এ বিষয়ে জানতে একাধিক বার ইউএনও দীপক কুমার দেব শর্মার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে সার্বিক বিষয়ে ইউএনওর কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্ন ফাঁসের গুঞ্জন ওঠায় নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ট্যাগ কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরী বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপক কুমার দেব শর্মার নজরে আনেন। এরপর পরীক্ষা শেষে তারা কেন্দ্র সচিব ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানের কক্ষে গিয়ে এ নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। প্রথমে তিনি (প্রধান শিক্ষক) সদুত্তোর দিতে না পারলেও পরে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন যে, তার কাছে পরবর্তী পরীক্ষার প্রশ্ন রয়েছে। পরে তিনি সবার উপস্থিতিতে তার রুমের বুক সেলফের নিচের তাক থেকে একটি কাপড়ের ব্যাগের ভেতরে প্যাকেটে থাকা কয়েকটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বের করে দেন। 

প্যাকেটের ভেতর থেকে গণিত (আবশ্যিক), উচ্চতর গণিত, রসায়ন, কৃষি, জীববিজ্ঞান ও পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের প্রশ্নপত্র বের করা হয়। এর মধ্যে একটি প্যাকেট ছাড়া বাকি সব প্যাকেটের মুখ খোলা ছিল। তখন ট্যাগ কর্মকর্তার নির্দেশে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সাঈদ মো. আতিক নুর উল্লেখিত বিষয়ের প্রশ্নপত্রসমূহ জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করেন এবং কেন্দ্র সচিব ও প্রধান শিক্ষককে হেফাজতে নেন। 

পরে এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের ট্যাগ কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমানসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জুয়েল রানা/আরএআর