ফরিদপুরে যাত্রীবোঝাই বাসের ভেতরে বিদ্যুতের খুঁটি ঢুকে নজরুল ইসলাম (৩৮) নামে এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর সদরের  কৈজুরি ইউনিয়নের পূর্ব গঙ্গাবর্দী এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নজরুল ইসলাম মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কুমারভোগ এলাকার রাজ্জাকের ছেলে।

আহতরা হলেন- মাদারীপুরের ব্রাহ্মনদী এলাকার মো. ফরহাদ হোসেন, কুষ্টিয়ার শিক্ষক তপন কুমার রায়সহ ১০ জন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,  দুপুরে ফরিদপুর সদরের পূর্ব গঙ্গাবর্দী এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের কংক্রিটের খুঁটি একটি ট্রাকে ওঠানো হচ্ছিল। এ সময় ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে কুষ্টিয়াগামী তালুকদার পরিবহনের একটি দ্রুতগামী বাস ওই এলাকা অতিক্রমকালে একটি খুঁটি বাসের সামনের কাচ ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায়। এতে বাসের ১১ যাত্রী আহত হন। পরে একই সময় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে ঢাকাগামী জে আর পরিবহনের একটি বাস ওই বিদ্যুতের খুঁটির ধাক্কায় খাদে পড়ে যায়। তবে তাতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। 

হাইওয়ে পুলিশ তালুকদার পরিবহনের আহত ১১ জনকে উদ্ধার করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করে। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নজরুল ইসলাম। 

ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কংকর কুমার বিশ্বাস বলেন, দুর্ঘটনায় আহত ১১ জনকে উদ্ধার করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর দেড়টার দিকে আহত যাত্রী নজরুল ইসলাম মারা যান।

খবর পেয়ে ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিটন ঢালী দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি পরে হাসপাতালে গিয়েও তিনি আহতদের খোঁজখবর নেন।

জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, নিহতের মরদেহ বাড়িতে পাঠানো ও কাফন-দাফনে সহায়তা হিসেবে সদর উপজেলা পরিষদের ফান্ড থেকে তাৎক্ষণিক ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া আহতদের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা ও খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।

জেলা বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) সম্প্রসারণ ও পরিবর্তন প্রকল্পের আওতায় বিদ্যুতের ওই খুঁটিগুলি সড়কের নিচ থেকে ওপরে উঠিয়ে ট্রাকে লোড দেওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জহির হোসেন/আরএআর