রাজশাহীর বিচারক দম্পতি জুয়েল অধিকারী ও জয়ন্তী রাণী দাসের সকালের নাশতায় বিষাক্ত কিছু মিশিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে ১৪ বছর বয়সী ভাতিজি। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর রাজপাড়া থানায় মামলা করেছেন বিচারক জুয়েল অধিকারী। এরপর থেকে ওই কিশোরী ও তার প্রেমিকের সন্ধানে নেমেছে পুলিশ।

পলাতক ওই কিশোরী বিচারক জয়ন্তী রাণী দাসের ভাই মানিক চন্দ্র দাসের মেয়ে। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাগুরহাটা এলাকায়।

নগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। প্রেমিকের হাত ধরে ঘরও ছেড়েছিল কিশোরী। এই ঘটনায় একাধিক মামলাও হয়েছে। ওই সম্পর্ক থেকে ভাতিজিকে ফেরাতে রাজশাহীতে নিজের বাসায় এনে রেখেছিলেন বিচারক জয়ন্তী রাণী দাস।

ওসি বলেন, সকালের নাশতায় ওই কিশোরী কিছু একটা মিশিয়েছে। এরপর তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই ছেলের সঙ্গে চলে গেছে কিশোরী। তবে খাবারের সঙ্গে কী মেশানো হয়েছিল, তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি বিচারক দম্পতি।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে ওই কিশোরীকে পাওয়া যাচ্ছে না। লিখিত অভিযোগে ওই ছেলেরও নাম আছে। দুজনের খোঁজে এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ৯টার দিকে সকালের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন বিচারক জুয়েল অধিকারী ও তার স্ত্রী অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জয়ন্তী রাণী দাস।

অবস্থা গুরুতর থাকায় ওই দিনই আইসিইউতে নেওয়া হয় জুয়েল অধিকারীকে। তবে বিচারক জয়ন্তী রাণী দাসের অবস্থা ততটা গুরুতর না হওয়ায় তাকে হাসপাতালের কেবিনে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

হাসপাতাল থেকে জানা গেছে, বিচারক দম্পতির ‘ফুড পয়জনিং’ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। তবে কারা কী ধরণের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

রামেক হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটের ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, বিচারক দম্পতির পাকস্থলি থেকে নেওয়া নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু বিষক্রিয়ার কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। খুব অল্প পরিমাণে বিষক্রিয়া হওয়ায় তা পরীক্ষায় ধরা পড়েনি।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর