মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে আমাদের এই দেশ উপহার দিয়েছেন। তাদের অবদান দেশের সবকিছুর ঊর্ধ্বে, কারণ তাদের জন্য আজ আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা আমাদের সবার দায়িত্ব। আগামী মাসের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ শুরু করা হবে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক স্থান এবং গণকবরগুলো সুষ্ঠুভাবে রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করা হবে।

রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতির আগামী প্রজন্মের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে মুক্তিযোদ্ধারা চরম কষ্ট সহ্য করেছেন। বর্তমান ও আগামী প্রজন্ম তাদের কাছে চিরঋণী। সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে খুবই আন্তরিক। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাস নির্মাণের ক্ষেত্রে যেন কোনো নিম্নমানের কাজ না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

আরও পড়ুন: জনগণ আবারও আ.লীগকে বিজয়ী করবে : মোজাম্মেল হক

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস ও বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আমিরুল আলম মিলন।

খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার এতে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. মাহবুব হাসান, জেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার মাহবুবার রহমান ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল আলম খান। স্বাগত জানান মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুল হাকিম।

একই স্থান থেকে ভার্চুয়ালি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী খুলনা সদর, দাকোপ ও বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগদান করেন।

উল্লেখ্য, বটিয়াঘাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটি নির্মাণে তিন কোটি ছয় লাখ ৬২ হাজার ৭৮৬ টাকা ব্যয় হয়।

মোহাম্মদ মিলন/এসএসএইচ