পাবনার ভাঙ্গুড়ার পর এবার আটঘরিয়া উপজেলায় একই সময়ে একই স্থানে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে উপজেলা বিএনপি ও আওয়ামী লীগ। এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাকসুদা আক্তার মাসু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, একই সময়ে উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নের নাদুড়িয়া মোড় এলাকায় তেল, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি এবং জামায়াত-বিএনপির নৈরাজ্য প্রতিহত করার উদ্যোগে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। এমন পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং জনজীবন প্রতিবন্ধকতা ও বিঘ্নতা সৃষ্টি হতে পারে মর্মে মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত নাদুড়িয়া মোড় এলাকা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হলো।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএনও মাকসুদা আক্তার মাসু বলেন, জনসাধারণের নিরাপত্তা ও বেআইনি সংঘবদ্ধ প্রতিবন্ধকতা ও বিঘ্নতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। উভয়পক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে। এরপরও যদি কোনো পক্ষ মিছিল-সমাবেশ করার চেষ্টা করে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। এ বিষয়ে আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছি। সকাল থেকে ১৪৪ ধারা জারিকৃত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আগে থেকে প্রশাসনের অনুমতি নেওয়ার পরও ১৪৪ ধারা জারি করা অত্যন্ত দুঃখজনক। এটা কোনো দেশে বাস করছি। একটা ইউনিয়নে সমাবেশ করব তাতেও ১৪৪ ধারা জারি করা হচ্ছে। সারা দেশেই তো কর্মসূচি পালিত হচ্ছে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু পাবনায় বার বার বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমরা ঘোষণা করলাম। আমরা কর্মসূচি আবার ঘোষণা করব, দেখি কতবার বাধা দেয়।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন ও সাধারণ সম্পাদক আবু হামিদ মোহাম্মদ মোহাঈম্মিনুল হোসেন চঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ করে বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে মাজপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমতাজ আলী খান বলেন, আমাকে থানা থেকে ফোন দিয়ে এ বিষয়ে (১৪৪ ধারা) অবগত করেছে। যেহেতু উপজেলা প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাই আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি।

রাকিব হাসনাত/এসএসএইচ