ঝিনাইদহে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এ রায় দেন। 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার বিষয়খালী এলাকার রসুল, শরিফুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম, গোলাম রসুল, আব্দুল আজিজ, আজিজুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম, বাদশা মিয়া ও বাতেন। এদের মধ্যে শরিফুল ও আমিরুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের মার্চ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের ওই নারীকে তুলে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করেন আসামিরা। পরে তারা তাকে হত্যা করে পালিয়ে যান। এ হত্যার ঘটনায় নিহতের স্বামী বাদী হয়ে পরদিন ১৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।

মামলার বাদী বলেন, ২০১১ সালে আমার স্ত্রীকে ওরা ধর্ষণের পর হত্যা করেছে। আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। দীর্ঘদিন পর স্ত্রী হত্যার বিচার পেয়ে আমি খুশি।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আদালত যে রায় দিয়েছেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। কিন্তু ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলেও একজন মারা যাওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তারা গ্রেপ্তার হলে ওই দিন থেকে সাজা কার্যকর হবে।

আব্দুল্লাহ আল মামুন/আরএআর