কুমিল্লায় সেনাবাহিনী পরিচয় দিয়ে ১০ বিয়ে করার অভিযোগ ওঠেছে মিজানুর রহমান (৪০) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বিয়ের পর আত্মীয়দের চাকরি দেবার নাম করে ৪০ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছেন তিনি। 

অভিযুক্ত মিজানুর রহমান বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের এতবারপুর এলাকার ভুঁইয়া বাড়ির মৃত ফজলুল হকের ছেলে।

এ ঘটনায় রাশেদা আক্তার নামে তার এক স্ত্রী কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় সমন জারির পরও আদালতে হাজির না হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তারের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লার বুড়িচং থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ রহমান। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মিজানুর রহমান নিজেকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয় দিতেন। ওই পরিচয় ব্যবহার করে তার পরিবারের কেউ জীবিত নেই, এতিম, আগের বউ মারা গেছে, ইত্যাদি কষ্টের কথা বলে নারীদের ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করতেন। অত্যন্ত কৌশলে নারীদের মন জয় করে তাদের আদালতে নিয়ে বিয়ে করতেন। বিয়ের ৬-১২ মাসের মধ্যেই লাপাত্তা হয়ে যান মিজান। কনের আত্মীয়দের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এমন অন্তত ১০ জন নারীকে বিয়ে করে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করেন তিনি।

মামলার বাদী রাশেদা আক্তার এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, তাকে বিয়ের পর আত্মীয়দের রাশেদার ব্যাংকে অ্যাকাউন্টের চেক দিয়ে চাকরি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে কয়েকজন নিকটাত্মীয়ের কাছে থেকে ৪০ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছেন মিজান। 

অভিযুক্ত মিজানুর রহমানের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

বুড়িচং থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মারুফ রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আদালত থেকে ওয়ারেন্ট থানায় এসেছে। প্রতারক মিজানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

আরিফ আজগর/এমএএস