যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় পৃথক তিন অভিযান চালিয়ে ৪ কেজি ৩৯৩ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। যার মূল্য ৩ কোটি ৪২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। এ সময় তিন পাচারকারীকে আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- বেনাপোল পৌরসভার ছোট আঁচড়া গ্রামের ইসমাইল সর্দারের ছেলে কুতুবউদ্দীন আশা (২৮), একই এলাকার নামাজ গ্রামের মৃত কালাম হোসেনের ছেলে সোহানুর রহমান বিশাল (২৭) এবং গোগা গ্রামের মৃত কালাম হোসেনের ছেলে সাকিব হোসেন (১৮)।

খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে বিজিবির একটি অভিযানিক দল রুদ্রপুর সীমান্তে অভিযান চালিয়ে সাকিব হোসেন নামে এক পাচারকারীকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে। পরে তার হাতে থাকা সারের ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে ১০টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। 

এ দিন রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুটখালি গ্রামের মসজিদ বাড়ি বিজিবি পোস্টে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন একটি প্রাইভেট কারের গতিরোধ করা হয়। এ সময় প্রাইভেট কারটি তল্লাশি করে পেছনের ছিটের বাঁ পাশের মধ্যে লুকিয়ে রাখা এক কেজি ৬০ গ্রাম ওজনের এক পিচ বড় স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। এ সময় প্রাইভেট কারসহ কুতুবউদ্দিন আশা ও সোহানুর রহমান বিশাল নামে দুই পাচারকারীকে আটক করা হয়। 

একই দিন রাতে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের আমড়াখালি বিজিবি পোস্ট এলাকায় নজরদারি বাড়ায় বিজিবি সদস্যরা। এ সময় চেকপোস্ট এলাকায় এক মোটরসাইকেল আরোহীকে গতিরোধ করতে সংকেত দিলে সে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে বিজিবি সদস্যরা তাকে ধাওয়া করলে সে বেনাপোল সীমান্তের মালিপুতা এলাকায় মোটরসাইকেল ফেলে গ্রামের মধ্যে পালিয়ে যায়। এ সময় মোটরসাইকেল তল্লাশি করে ১৮ পিচ স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। 

তিনি আরও জানান, তিনটি অভিযানে মোট ২৯ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে। যার মোট ওজন ৪ কেজি ৩৯৩ গ্রাম এবং মূল্য ৩ কোটি ৪২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। আটক পাচারকারীদের মামলা দিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। 

এ্যান্টনি দাস অপু/এসপি