কবি সৈয়দ মেহেদী হাসানের ‘বলতে না পারার শোকে’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে। শনিবার (০১ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কবি তপংকর চক্রবর্তী, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম, ডেপুটি রেজিস্ট্রার বাহাউদ্দীন গোলাপ, কবি হেনরী স্বপন, আসমা চৌধুরী, সংস্কৃতিজন মুকুল দাস, বরিশাল প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি পুলক চ্যাটার্জী, প্রগতি লেখক সংঘ বরিশালের সভাপতি অপূর্ব গৌতম, বাউণ্ডুলে প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী অনিন্দ্য দ্বীপ প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক কবি হেনরী স্বপন বলেন, সৈয়দ মেহেদী হাসানের কবিতায় জটিল মানসিক স্তর রয়েছে। তার অন্তরের ক্রোধে যতটা দেশপ্রেমের জোছনায় জ্বলজ্বলে ততটাই মিছিলের পায়ে পায়ে উৎপ্রেক্ষা-উপমায় শান্ত পরাবাস্তবতার মতো। তার কবিতা সবটাই রাজনৈতিক কিংবা রোমান্টিক সর্বস্বও নয়। 

কবি আসমা চৌধুরী বলেন, এই সময়ে মানুষের অব্যক্ত কষ্ট আর অবগুণ্ঠিত আর্তনাদ ফুটে উঠেছে কবিতার পয়ারে পয়ারে। মানুষ নতুন করে শুরু করতে গিয়েও নৈরাশ্যের মধ্যে নিমজ্জিত হয়- এই কষ্টগুলো যেন মেহেদীর একার না আমাদেরও। বলতে না পারার শোকে তারই চমৎকার প্রতিফলন। 

তিনি বলেন, কবিতা যে শুধু শিল্প চর্চা নয়, মানুষের জন্য কাজেরও মাধ্যম তা প্রমাণ করেছেন কবি। তিনি সমাজের দায়বোধ থেকে বইটির অর্থ ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু জান্নাতের সহায়তায় দান করার ঘোষণা দিয়েছেন।  

অনূভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে অন্যান্য বক্তারা বলেন, কবিতা যে শুধু ফুল, পাতা প্রকৃতি আর শিল্প চর্চায় সীমাবদ্ধ- এই প্রথা ভেঙে দিয়েছেন সৈয়দ মেহেদী হাসান। মননের চর্চার বাইরে কবিতা হয়ে উঠতে পারে কারো বেঁচে থাকার অবলম্বন, সেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। শিশু জান্নাতকে বাঁচাতে আমাদের সকলের এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন তারা। 

‘বলতে না পারার শোকে’ সৈয়দ মেহেদী হাসানের তৃতীয় কবিতার বই। বইটি বিক্রির সকল অর্থ ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু জান্নাতের চিকিৎসায় সহায়তা করা হবে। বইটি প্রকাশ করেছে বাউণ্ডুলে প্রকাশন। বইটি রকমারিতেও পাওয়া যাচ্ছে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর